শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২২, ০৮:১৩ রাত
আপডেট : ২৫ জুলাই, ২০২২, ১১:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাগরে ধরা পড়ছে ইলিশ, নাগালের বাইরে দাম

ইলিশ

মিনহাজুল আবেদীন: ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে এসব ইলিশের বেশির ভাগ আকারে ছোট। দিনের দিনই মাছ নিয়ে ফিরছে অনেক ট্রলার। সোমবারও (২৫ জুলাই) কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে সাড়ে সাত মেট্রিক টন ইলিশ। তবে মাছের আড়ত ও ফিশারিঘাট ইলিশে ভরে গেলেও দাম এখনো সাধারণের নাগালের বাইরে। 

নিষেধাজ্ঞার পর রবি ও সোমবার দুইদিনে ধরা পড়েছে ৩২ টন মাছ। এর মধ্যে সাড়ে ১৯ টনই ইলিশ। বাজারে মিলছে ৮০০ থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ।

ব্যবসায়ী ও জেলেদের তথ্যমতে, ফিশারিঘাটে পাইকারিতে ১২০০-১৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। আর ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়।

কক্সবাজার সদর উপজেলা বাজারের খুচরা মাছ ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ১২-১৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে। ৬০০ গ্রামের ওপরে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। কেজিতে ২-৩টি ধরে এমন ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। আরো ছোট সাইজের কেজিতে চারটি ধরে এমন মাছের দাম ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাগোনিউজ ২৪

কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইলিশ ধরতে সাগরে নেমেছে জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলার অন্তত ছয় হাজার ট্রলার। বেশির ভাগ ট্রলার ইলিশ ধরতে সাগরের ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে জাল ফেলছে। অবশিষ্ট ট্রলার ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটারে জাল ফেলে। এখন কাছের ট্রলারগুলো ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে। দূরের ট্রলারগুলো মাছ ধরে ফিরতে আরো দু-এক দিন সময় লাগবে।

ট্রলারের মালিক ও শহরের নুনিয়াছটা এলাকার বাসিন্দা হোসেন আহমদ বলেন, ৮ হাজার ইলিশের মধ্যে ৭০ শতাংশের ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। এফবি নিশান-১ নামের ট্রলার পেয়েছে ৫০০ ইলিশ। মাছের ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। এফবি নিশান-২ ট্রলার পেয়েছে ৯০০ ইলিশ। 

দুটি ট্রলারের মালিক ফিশারি ঘাট এলাকার বাসিন্দা ওসমান গণি বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় তার ট্রলার দুটি গভীর সাগরে যেতে পারেনি। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ইলিশ ধরতে ট্রলার দুটি আবার সাগরে নামবে।

ইলিশের মালিক স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ট্রাকবোঝাই ইলিশ যাচ্ছে ঢাকার আবদুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ীতে। সেখানে প্রতি কেজি ইলিশে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ করা হবে।

সমিতির উপদেষ্টা ও ইলিশ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে সাগর থেকে এক হাজারের বেশি ট্রলার ফিরে আসবে। তখন ইলিশে সয়লাব হবে বাজার। এ সময় বিপুল পরিমাণ ইলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী, সিলেট, বগুড়া, ফরিদপুরে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, গত বছর কক্সবাজার উপকূল থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছিলো ৩৯ হাজার ৩১৪ মেট্রিক টন। এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়