বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করায় আগামী ১৩ দিন দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। একইসঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় এবং বজ্রপাতের শঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক সংগঠনটি।
এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন ১০ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার ওপর দিয়েই তীব্র বজ্রপাত, শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আর ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত অতিক্রমেরও আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
এদিকে বিডব্লিউওটি জানায়, চলতি বছরের দ্বিতীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করেছে দেশ। যা আজ (১০ এপ্রিল) এবং আগামীকাল চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি সক্রিয় হতে পারে ও পরবর্তী সময়ে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশের অনেক এলাকায় সক্রিয় হতে পারে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ বিভাগে। মাঝারি ধরনের সক্রিয় থাকবে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে এবং কম সক্রিয় থাকবে খুলনা ও বরিশালে।
সংস্থাটি জানায়, এই বৃষ্টিবলয় আজ থেকে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। এই ১৩ দিনের বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ও তীব্র বজ্রপাত হতে পারে। এই বৃষ্টিবলয়টি আজ উত্তরবঙ্গ রংপুর বিভাগ ও কক্সবাজার হয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে ও ২২ এপ্রিল সিলেট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে। বৃষ্টিবলয় চলাকালীন সময়ে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ এলাকায় পানি সেচের চাহিদা পূরণ হতে পারে।