শাহীন খন্দকার: টানা তাপদাহের পর বৃষ্টি হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশে ছিলো মেঘের আনাগোনা।
রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সকালের দিকে কয়েক পশলার পর বেলা ১২টার দিকে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। চলে প্রায় আধা ঘন্টার মতো। রাজধানীতে গতকয়েক দিনের তাপদাহের মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলো।
রাজধানীর মতো দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের আওতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা ৪৩টি বৃষ্টি পরিমাপক পয়েন্টের মধ্যে ৩৬টিতে বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে চট্টগ্রামের শুরু হয় বৃষ্টি। সকালেও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে নগরীর কাতালগঞ্জ, বাদুরতলা, হালিশহরসহ কিছু নিচু এলাকা সব মিলে চট্রগ্রামে ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ড. আবুল কালাম মল্লিক আরো বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টি হবে। এতে তাপমাত্রা সামান্য হলেও কমবে। আগামী কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধীরে ধীরে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এ সময়ে হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এতে সেসব এলাকার তাপমাত্রা কমতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় ফেনীতে, ৮০ মিলিমিটার।রাজধানীতে এ সময় বৃষ্টি হয় ২ মিলিমিটার। নেত্রকোনায় ১২ মিলিমিটার, নোয়াখালীতে ১৬. খুলনায় ৮, ফেনিতে ২৮, কক্সবাজার ১১ ,পটুয়াখালীতে ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে দেশের সর্বত্র বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীতে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও অফিসগামী মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :