শরীফ শাওন: কক্সবাজারের রামু উপজেলায় সংরক্ষিত বন ও পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষিত জঙ্গল খুনিয়াপালংয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) জায়গা বরাদ্দ দেওয়া বাংলাদেশের সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও আদালতের আদেশের লঙ্ঘনের সামিল বলে মনে করছেন ১১টি নাগরিক আন্দোলন সংগঠন।
বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ‘নিজেরা করি’ সংগঠনের সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু আইন পালনে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গণে স্বাক্ষর করলেও বাস্তবে হাইকোর্টের আদেশকেও অমান্য করি।
পরিবেশ, প্রকৃতি ও দেশকে হুমকিতে ফেলবে এমন বনভূমি জলাভূমি ব্যবহারে সরকার নিষেধাজ্ঞা দিলেও মন্ত্রণালয় থেকে তা বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও সংবিধানের লঙ্ঘন। আমরা চাই টেকনিক্যাল সেন্টার হোক তবে তা দেশের প্রকৃতি ও সম্পদকে নষ্ট করে নয়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংবিধানমতে দেশ পরিচালনা করা সরকারের দয়িত্ব। সেই সরকার যদি সংবিধান লঙ্ঘন করে, অসাধু জনগণ সেই সুযোগ পেয়ে প্রকৃতিকে নষ্ট করে। কক্সবাজারের বনভূমির এক তৃতীয়াংশ ধ্বংস হওয়ার দ্বায় সরকারকেই নিতে হবে। ফুটবলে আমরা তৃতীয় সর্বনিম্ন স্থানে আছি, তাই আমরা চাই সেন্টার নির্মাণ হোক। কিন্তু প্রকৃতি ধ্বংস করে নয়।
বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বন ও প্রকৃতি ধ্বংস করার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ধরনের কাজ মন্ত্রণালয়ের চরম অসংবেদনশীলতা। যদি এমন কাজ করে তাহলে জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে অধিদপ্তর আর মন্ত্রনালয় রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
নাগরিক আন্দোলন নেতা স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যে উন্নয়ন জীবনকে হুমকিতে ফেলে সেটি উন্নয়ন হতে পারে না। পৃথিবীর এমন কোনো রাজধানী নেই যার চারপাশে ৫টি নদী আছে কিন্তু সেটি ঢাকা শহরের আছে। আর কলকারখানার বর্জ্য, সুয়ারেজের পানি এসব নদীতে ফেলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :