মাজহারুল ইসলাম: বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত একদিনের ব্যবধানে ১০ নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিপৎসীমার ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও শুক্রবার প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
ভোলার তেতুলিয়া নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোলার দৌলতখান সংলগ্ন সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৪ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তজুমদ্দিন এলাকার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানিও বর্তমানে বিপদসীমার ৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠী বিষখালী নদীর পানিও বর্তমানে বিপদসীমার ২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানিও বর্তমানে ২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং উমেদপুর কচা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীর তীরের জনপদ, চরাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অধিকাংশ স্থানের গ্রামবাসী পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাজার হাজার একর ফসলী জমিও পানির নিচে রয়েছে।
এ ছাড়াও জোয়ারের পানির স্রোতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লালুয়া, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমানতগঞ্জ, সাগরদী, ধান গবেষণা, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনী, রসুলপুর গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় সেখানকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :