শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০২২, ০৪:১৬ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২২, ০৪:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে 

নদী

মাজহারুল ইসলাম: বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে গত একদিনের ব্যবধানে ১০ নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বিপৎসীমার ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও শুক্রবার প্রবাহিত হচ্ছে ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। 

ভোলার তেতুলিয়া নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোলার দৌলতখান সংলগ্ন সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৪ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তজুমদ্দিন এলাকার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানিও বর্তমানে বিপদসীমার ৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠী বিষখালী নদীর পানিও বর্তমানে বিপদসীমার ২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানিও বর্তমানে ২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং উমেদপুর কচা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীর তীরের জনপদ, চরাঞ্চল দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অধিকাংশ স্থানের গ্রামবাসী পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাজার হাজার একর ফসলী জমিও পানির নিচে রয়েছে।

এ ছাড়াও জোয়ারের পানির স্রোতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লালুয়া, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমানতগঞ্জ, সাগরদী, ধান গবেষণা, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনী, রসুলপুর গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় সেখানকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়