শিরোনাম
◈ ‘ইজতেমার নিয়ন্ত্রণ’ নাকি ‘সাদ কান্দালভি’- তাবলীগ সংকটের কারণ আসলে কী ◈  আমরা কিংস পার্টি নই, আমরা কিংস মেকার:  হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও) ◈ ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি মুকুল গ্রেপ্তার ◈ অনলাইনে আয়কর পরিশোধে ফি বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ◈ প্রায় অর্ধেক মানুষই জানে না তার ডায়াবেটিস ◈ তেজগাঁও থেকে বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করলো কাস্টমস ◈ আশা করি নতুন উপদেষ্টাদের কাজ দেখে বিচার করবেন বাংলাদেশের জনগণ : মাহফুজ আলম ◈ উদ্বোধনের অপেক্ষায় ৫২ জেলায় পানির গুণগতমান পরীক্ষাগার, মিলবে বিশুদ্ধ পানি ◈ যে কারণে পুরুষের চার বিয়ে করার কথা বললেন এই অভিনেত্রী হীরা সুমরো ◈ এখনো রাস্তায় আহতরা, উপদেষ্টাদের হাজির হওয়ার আলটিমেটাম

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০২২, ০৫:৩৫ বিকাল
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২২, ০৫:৩৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদের তৃতীয় দিনেও আশানুরুপ পর্যটক নেই জাফলংয়ে

আশানুরুপ পর্যটক নেই জাফলংয়ে

শাহ আলম : প্রতি বছরের অন্যান্য ঈদে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকতো সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং। তবে, এবছরের পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটির তৃতীয়  দিনেও নেই আশানুরুপ পর্যটকের সংখ্যা। পর্যটক কম রয়েছে উপজেলা অন্য দু’টি পর্যটনকেন্দ্র বিছনাকান্দি ও রাতারগুলেও।

গত দুই বছর ঈদে মহামারী করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। এরপর স্পটগুলো শিথিল হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন ব্যবসায়ীরা। তারপর করোনার ধকল কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও হানা দেয় বন্যা। বন্যার কারণে ঈদের আগে থেকেই স্পটগুলোতে ছিল সুনশান নীরবতা। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও পর্যটকের সংখ্যা সীমিত।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদের তৃতীয়  দিন মঙ্গলবার দুপুর থেকে পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত। কয়েকটি স্পটে পর্যটকের সংখ্যা থাকলেও তা ছিলো স্থানীয় পর্যটক। এখানকার হোটেল-রিসোর্টের বেশির ভাগই ফাঁকা রয়েছে। বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে রাখা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত পর্যটক না আসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

যদিও ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ভয়াবহ বন্যার প্রভাব পড়েছে স্পটগুলোতে। বন্যার পর থেকেই এখানে পর্যটক একেবারেই কমে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তাই যাতে পর্যটকরা নির্বিগ্নে ঘুরতে আসেন সেই আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
 
জাফলং ফটোগ্রাফার সমিতির সহ সভাপতি সুলতান রাজা বলেন, পর্যটক কম থাকায় ফটোগ্রাফাররা তেমন রোজী করতে পারেছেন না। যারাই বেড়াতে এসেছেন বেশিরভাগই ছিলেন লোকাল পর্যটক।

কাপড় বিক্রেতা করিম আহমেদ বলেন, ঈদে প্রস্তুতী নিয়ে রাখছিলাম। পর্যটক একেবারেই কম আসছে। করোনা আর বন্যায় আমরা ব্যবসায়ীরা একেবারেই বিপাকে। আশা ছিলো এবার ভালো বেচাকেনা হবে। কাল থেকে হয়তো পর্যটক আরও বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে সরেজমিনে জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য বারের চাইতে এখন পর্যটক কম। সকালের দিকে পর্যটক না থাকলেও দুপুরের পর থেকে কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেন। জাফলংয়ে বিকেল পর্যন্ত সহস্রাধিক পর্যটক এখানে বেড়াতে এসেছেন। যারাই এসেছেন তারা স্বচ্ছ পানি, পাহাড়, পাথর আর ঝর্নার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, বন্যার প্রভাবে এবারের ঈদে আশানুরুপ পর্যটক নেই জাফলংয়ে। যেহেতু, বন্যার পানি একেবারেই কমে গেছে সেহেতু পর্যটক আসতে পারেন। তাই কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে বিবেচনা করে ট্যুরিস্ট পুলিশ ঈদের দিন থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়