মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট: ঝোপ-ঝাড়ে ভরা দীর্ঘদিন ফসলহীন পরিতক্ত জমি পরিস্কার করে প্রায় দেড়’শ বিঘার আম বাগান করেছে ঔষধ কোম্পানির একজন রিপ্রেজেন্টিভ। জমিগুলো অল্প টাকায় লিজ নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চারা রোপন করেন তিনি। প্রথম দু’বছর বাগানে তেমন আম না ধরলেও এ বছর গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম। অতিরিক্ত জঙ্গলের কারনে এক সময় যেখানে মানুষ চলাচল করত না সেখানের গড়ে ওঠা বিশাল আমের বাগান দেখতে ও ঘুড়তে আসে অনেকেই। বাগানের আম বিক্রয় করে নিজে যেমন লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে অনেক লোকের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান।
আইয়ুব আলী ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরী করার সুবাদে দীঘদিন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘোরেন। এরই সুবাদে উপজেলার মহিপুর মাওলানা ভাসানী সরকারি কলেজের পূর্ব-পাশে বেতগাড়ি এলাকার বিশাল জঙ্গলের পতিত জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলেন আমের বাগান। একাধিক জমির মালিক বলেন, অতিরিক্ত ঝোঁপ-জঙ্গলের কারনে জমিগুলো বছরের পর বছর পরিতক্ত ছিল। পরিস্কার করার অভাবে কোন ফসল করা হতো না। গাছ সহ ১২ বছর পর জমি ফেরত দেওয়ার শর্তে অল্প টাকায় জমিগুলো লিজ দেওয়া হয়েছে।
বাগান মালিক আইয়ুব বলেন, জমির জঙ্গল পরিস্কার, চারা ক্রয় ও রোপন, সার-কীটনাশক, শ্রমিক খরচ, বাগান ঘেরা ও লিজ বাবদ মোট অর্ধ-কোটি টাকা খরচ হয়। তিনি আরো বলেন, বমর্তানে বাগানে আম রুপালী, বারিফোর, চোষা, হাড়িভাঙ্গা, কাটিমন, ব্যানানা ও সূর্যমুখী সহ বিভিন্ন জাতের আম আছে। প্রথমে তেমন আম না ধরলেও এ বছর প্রচুর আম ধরেছে। বাগানের ম্যানেজার আতোয়ার হোসেন বলেন, বাগানের অর্ধেক গাছের আম বিক্রয় করা হয়েছে। ৩ টন বহনের ট্রাকে করে এ পর্যন্ত ২০ গাড়ি আম বিক্রয় করা হয়েছে আরো ৩০ গাড়ির মত আম গাছে আছেই। গাড়ি প্রতি ৭০-৭৫ হাজার টাকায় আম বাগান থেকে পাইকারি বিক্রয় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :