সালেহ ইমরান: [২] আগে বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস ছিলো এপ্রিল। প্রতিবছরই এপ্রিলের তাপমাত্রা মাঝেমাঝেই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতো। এখন সেই চরম উষ্ণতা শুধু এপ্রিল ও মে মাস বা গ্রীষ্মকালেই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে আরো ব্যাপক সময় ধরে। (ঢাকা ট্রিবিউন ৩০-০৬-২০২৪)
[৩] গত কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালেও গ্রীষ্মকালের মতো গরম পড়ছে এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
[৪] আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের এখনকার গড় তাপমাত্রা আগের তিন দশকের চেয়ে তীব্রভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ১৯৯১ সাল থেকে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। এর প্রভাবে গত ৩০ বছর ধরে বর্ষাকালে তীব্র গরম পড়ছে। এমনকি ভরা শীতের দুই মাসেও মাঝে মাঝে শীতের অস্তিত্ব অনুভূত হয় না।
[৫] জলবায়ুজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে খরা, তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, শীতকালে গরম, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, বজ্রপাত, ভূমিধস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অম্লতা। (সময়ের আলো ২৯-০৬-২০২৪)
[৬] আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে একেক ঋতুর নিজস্ব রূপ। শরৎ, বসন্তের মতো ঋতুগুলো ক্রমেই তাদের কোমল চরিত্র এবং বর্ষা তার চিরাচরিত রূপ হারিয়ে গ্রীষ্মকালের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। (আবহাওয়া বিভাগ)
[৭] ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাইমেট রিস্ক’ এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ুর দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্য্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশে।
[৮] এর আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি জলবায়ু ঝুঁকি চিহ্নিত করে দীর্ঘমেয়াদে সমণ্বিতভাবে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ (ন্যাপ) গ্রহণ করেছিলো সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঝুঁকি ও দুর্যোগের হার সময়ের সাথে সাথে বাড়বে। (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ২৯-০৬-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :