আবু বক্কর, ঠাকুরগাঁও: [২] ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ মিনিটের ভারী বৃষ্টি ও তুমুল ঝড়ে ২ ইউনিয়নের ২০ টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নারী ও শিশু সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৩] শনিবার ভোররাতে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারিয়া ও দুওসুও ইউনিয়নে ঝড়ের কবলে এ ক্ষয়ক্ষতি ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলেন- উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের শালডাঙ্গা গ্রামের পইনুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), একই গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫০) এবং উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর নয়াপাড়া গ্রামের নাজমুল ইসলামের আড়াই বছরের ছেলে সন্তান নাঈম।
[৪] শনিবার দুপরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়ে পাড়িয়া ইউনিয়নের তিলকড়া, শালডাঙ্গা, বঙ্গভিটা, লোহাড়া, বামুনিয়া সহ ১২টি গ্রাম ও অপর ইউনিয়নের বেলহাড়া, বেলবাড়ী, বটের হাটসহ ৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদিঘী বাজারে ৫টি দোকান এবং ০২টি হোটেলের ওপর গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
[৫] পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বালিয়াডাঙ্গী জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে ৪০টিরও বেশি বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে এবং ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়েছে ।
[৬] ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পরিদর্শন এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ শুরু করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন। ঝড়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা ঝড়ে নারী ও শিশু সহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাই এবং তাদের সহযোগীতার ব্যবস্থা করি। এছাড়াও জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :