শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] টানা বৃষ্টির পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের অধিকাংশ জেলায়। সামনের কয়েক দিনে তাপদাহের বিস্তৃতি বাড়তে পারে আরও। এরই মধ্যে আভাস মিলেছে শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ের।
[৩] ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, চলতি মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে; যা আগামী ২০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কিংবা গতিপথ কোনদিকে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে রেমাল।
[৪] দেশের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রেমালও আম্ফান ও আইলার মতো বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এটির শক্তি কতটুকু; শেষ পর্যন্ত সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে কি না, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
[৫] তবে ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করে সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করতে পারে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর রেমাল পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
[৬] এদিকে, বুধবার বিকেলে আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা জানান, চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ ৪২ জেলায় বিস্তার লাভ করেছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে। বৃষ্টি একেবারেই কমে যাওয়ায় সারাদেশের তাপমাত্রা আরোও বাড়তে পারে। তবে এ মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের কোনো আশঙ্কা নেই।
[৭] তিনি বলেন, দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা ১৯ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এরপর আবারও বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
[৮] অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ভোলা ও পটুয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। শনিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :