শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে সামান্য কমতে পারে। আগামী ৫ মে সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আর এতে তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমে যেতে পারে।
[৩] গত ১ এপ্রিল থেকে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা ৩৫ বছরের রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৯ সালে বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার থেকে কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক।
[৪] মঙ্গলবারের পর বুধবারও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
[৫] দেশে অব্যাহত তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে । বুধবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে পাওয়া গেছে হিটস্ট্রোকে অন্তত দুজনার মৃত্যুর খবর। এরমধ্যে, কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে তীব্র দাবদাহে আবুল হোসেন (৫৫) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সারে ১১টার দিকে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
[৬] অপর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক দুলাল উদ্দিন সরদার (৫৫) ধান কাটতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে ক্ষেতেই মারা যান।
[৭] এদিকে, পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার পূর্বাভাসও দিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার সকালে আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
[৮] তবে চলমান তাপদাহের পর প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক। সংস্থাটি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোতে এ বছর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। যার ফলে ভয়াবহ বন্যা এবং পাশাপাশি তীব্র ঝড়েরও আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস
[৯] সংস্থাটি বলেছে, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।
[১০] জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনো’ বর্তমানে বিরাজমান। বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা। ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম, আর ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :