শিরোনাম
◈ ঢাকায় বাড়ছে অপরাধ, জড়িতদের অধিকাংশ কিশোর ◈ যেকারনে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭৫ কি.মি. অংশে বেড়া নির্মাণ বাস্তবসম্মত নয়, জানাল ভারত ◈ ৫ শতাংশ হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ ◈ নয়াদিল্লির আদলে ঢাকায় মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ কমিশনের ◈ ১৫ বছর চাকরি করলেই পাওয়া যাবে পেনশন ◈ ট্রাম্পের 'সহায়তা স্থগিত', বাংলাদেশে মার্কিন কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর সুযোগ ◈ নতুন দুই বিভাগ ও দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের ◈ 'ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে’ মানুষই ব্যবস্থা নেবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:৪১ দুপুর
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১০:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলচ্চিত্র বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে নতুন ফর্মুলার খোঁজে নির্মাতারা

ইমরুল শাহেদ: সম্প্রতি পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ তাদের সাধারণ সভায় বলেছেন, যেদিন নকল ছবি নিষিদ্ধ হয়েছে, সেদিন থেকে চলচ্চিত্রশিল্পে ধস নেমেছে। কেন হঠাৎ তিনি এ কথা বললেন? এ কথাতো ঠিক যে চলচ্চিত্রশিল্প এখন গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে একেবারেই ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারকা সংকট, পুঁজির সংকট, সিনেমা হলের সংকট - এমন কি পরিবর্তিত সময়কে ধারণ করে সুষ্ঠু বাণিজ্যিক বা বিনোদনমূলক ছবি নির্মাণের মতো নির্মাতারও সংকটে। নয় মাসের করোনা মহামারিকালে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে এখন শ’য়ের বেশি সিনেমা হল নেই। অথচ এক সময় এদেশে সিনেমা হল ছিল দেড় হাজারের কাছাকাছি। সিনেমা হল ভেঙ্গে গোডাউন, মার্কেট সহ লাভজনক নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে চিত্রকর্মীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অনুদানের অর্থে যেসব ছবি নির্মিত হচ্ছে, সেগুলো কখন কোথায় মুক্তি পায় কেউ বুঝতে পারে না। ফলে ছবিগুলো দর্শকের কাছাকাছি যেতে পারছে না। নিজেদের চেষ্টায় লগ্নীকারক যোগাড় করে যারা ছবি নির্মাণের চেষ্টা করছেন তারাও দর্শক চাহিদা মতো উপকরণ দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারছেন না। এতে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে। 

উদ্ভূত এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সিনেমা হল মালিকদের দাবিতে চিত্রকর্মী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আলাপ-আলোচনা করে বিনিময় চুক্তিটি দুই বছরের জন্য নবায়ন করে। এই চুক্তির আওতায় বেশ কয়েকটি ছবিও আনা হয়। ইতোমধ্যে এই চুক্তির আওতায় আমদানি করা পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে শাহরুখ খানের জওয়ান ও অ্যানিমেল মোটামুটি ব্যবসা করলেও অন্যগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেখা গেছে এসব ছবিগুলো শুধু সিনেপ্লেক্সেই ভালোভাবে প্রদর্শিত হলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে দর্শক টানতে পারে না। এসব ছবির কল্যাণে দেশে কোনো সিনেমা হল বাড়েনি বলেও শোনা যাচ্ছে। এই পাঁচটি ছবি মুক্তি পাওয়ার পর দেশে সিনেমা হল বেড়েছে না কমেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এই কমিটি খতিয়ে দেখে যে প্রতিবেদন তৈরি করবে সেটা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে প্রদান করা হবে। 

প্রশ্ন হলো নকল ছবি নিয়ে। পাশের দেশ ভারতের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, করোনা মহামারি তাদের চলচ্চিত্রশিল্পকে বিন্দুমাত্র স্পর্শ করতে পারেনি। সেখানে তামিল ভাষায় একটি ছবি সুপার-ডুপার হিট হলে সেই ছবিটি তেলেগু, মালয়ালাম, অসমিয়া, ভোজপুরী সহ বিভিন্ন ভাষায় নিজ নিজ অঞ্চলের তারকাদের নিয়ে রিমেইক হচ্ছে। তাতে বিনোদন ক্ষেত্রে একটা ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, ভারতে অঞ্চল ভেদে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। সেই সংস্কৃতি রক্ষা করেই ছবিগুলো নির্মিত হচ্ছে। মুম্বাইকে বলা হয় বলিউড। অর্থাৎ বিনোদন জগতে যাকে স্থান দেওয়া হয়েছে হলিউডের পরেই। তারাও তামিল, তেলেগু ছবি রিমেইক করে দর্শককে মুম্বাইমুখী করার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা বিদেশী ছবিও অ্যাডপ্ট করছে। বিশেষ করে হলিউডের চাইতে কোরিয়ার ছবিই তাদের কাছে বেশি প্রিয়। মুম্বাই চলচ্চিত্রশিল্প গোটা দেশের বিনোদনের কেন্দ্র। এজন্য মুম্বাই চলচ্চিত্রকে সর্বভারতীয় চলচ্চিত্র বলা হয়। 

ঢাকার চলচ্চিত্রও এক সময় তামিল, তেলেগু এবং মুম্বাইয়ের ছবি নকল করে চলচ্চিত্র ব্যবসা রমরমা রেখেছিল। কাজী হায়াৎ চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচানোর জন্যই হয়তো নকল ছবির প্রসঙ্গটি নতুনভাবে উত্থাপন করেছেন। এই বিতর্কের অবকাশ নেই। সম্পাদনা: রাশিদ   

আইএস/আর/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়