ইমরুল শাহেদ: নিউইয়র্কে শাকিব খান আর ঢাকায় বুবলী। দু’জন দুই স্থান থেকে ঈদের ছবির প্রচারণা চালাচ্ছেন। এবার ঈদে শাকিব খানের দুটি ছবি মুক্তি পেলেও তিনি কথা বলছেন একটি ছবি নিয়ে। শাকিব খান ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রচার করছেন ‘গলুই’ ছবির। এ ছবিতে তার বিপরীতে রয়েছেন পূজা চেরী। তিনি পূজাকে নিয়ে কথা না বললেও ‘গলুই’ ছবির সাফল্যই চাইছেন বেশি। অপর পক্ষে বুবলী মাঠে নেমেছেন ‘বিদ্রোহী’ ছবির প্রচার নিয়ে। তিনি ছবিটির সাফল্য কামনা করে গত এক সপ্তাহে একাধিক  ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তবে চিত্রকর্মীদের কেউ কেউ এই প্রচার একটু বাঁকা চোখে দেখার চেষ্টা করছেন।

তারা বলতে চান, শাকিব-বুবলীর প্রায় দশ থেকে বারোটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তারা পরীক্ষিত জুটি। এই জুটির আগের ছবিগুলোর ভাগ্যে যা ঘটেছে, বিদ্রোহী তার ব্যতিক্রম কিছু হবে না। এখন শাকিব খান সাফল্য চাইছেন পূজা চেরীর সঙ্গে। পূজা চেরীর সঙ্গে তিনি যদি সফল হয়ে যান তাহলে তিনি ফিরে আসবেন নব্বুইয়ের দশকে। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে তার পর্দা জীবনের মেয়াদ বেড়ে যাবে। তারা ছবিগুলোর প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন তাদের কত শতাংশ সিনেমার দর্শক। অতীতে প্রমাণ হয়েছে ফেসবুক চলচ্চিত্রের প্রচারের জন্য তেমন একটা কার্যকর মাধ্যম নয়। যেসব মাধ্যমের সহায়তায় সাধারণ দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়, সেই প্রচার মাধ্যমকেই ব্যবহার করতে হবে। আগে গ্রাম এবং শহরাঞ্চলে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হতো ছবির নাম।

কোন কোন সিনেমা হলে চলছে তারও প্রচার করা হতো। পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে যেত সব এলাকা। ছবির গান বাজতো সিনেমা হলের আশপাশের চা-পান দোকানগুলোতে। এখন কোন ছবি কোথায় মুক্তি পায় সেটা কেউ টের পাওয়ার আগেই ছবি সিনেমা হল থেকে নেমে যায়। চলচ্চিত্রের বর্তমান দুরবস্থায় ছবির প্রচারের উপর জোর দিতে হবে। দর্শককে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে ছবির নাম। তাহলে ছবিটি যেমন ব্যবসা সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি নতুন তারকাও তৈরি হবে। দর্শক নতুন মুখ, নতুন জুটি এবং নতুন ধরনের গল্পের স্বাদ পেতে চায়।