শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] কয়েকদিন আগেই জিপ্পি গরিওয়ালের বাড়িতে গুলি চালিয়ে ‘ভাইকে বলে দিও দাউদ বাঁচাতে আসবে না’ বলে সালমান খানকে হুমকি দিয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। এরপর পাঞ্জাবী গায়কের কাঁধে বন্দুক রেখে সামাজিক মাধ্যমে সালমান খানের উদ্দেশে এক হুমকি পোস্ট দেওয়া হয় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে। কোন জায়গা থেকে ভাইজানকে পরপর এমন খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেই তদন্তে নেমে বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

[৩] এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ফেসবুকের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে ওই পোস্টের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলাম। তারা আমাদেরকে জানিয়েছে, ইউরোপের কোনো একটি দেশ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সালমানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ সূত্র: আনন্দবাজার

[৪] তিনি আরও বলেন, ‘এটা কী রসিকতা না খুনের হুমকি স্থানীয় পুলিশ এবং অপরাধ দমন শাখা বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। কানাডায় জিপ্পি গরিওয়ালের বাড়ির সামনে যে গোলাগুলি হয়েছে, তার সঙ্গে এর কোনও যোগ রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

[৫] গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) সালমান খানকে ফের খুনের হুমকি দেওয়ার পর মহারাষ্ট্রের পুলিশ প্রশাসনের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ভাইজানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। বুলেট প্রুফ গাড়িতে চলাফেরা করেন তিনি। সবসময়ে বডিগার্ড শেরার পাশাপাশি সালমান খানের সঙ্গে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা বলয় থাকে। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফ থেকে এর আগেও বলিউড সুপারস্টারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার ইউরোপের সঙ্গে এর যোগসূত্র খুঁজে পেল মুম্বাই পুলিশ। সূত্র: এই সময়

[৬] সম্প্রতি জিপ্পি গরিওয়ালের বাড়ির সামনে হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনার দায় গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই স্বীকার করে নেয়। এরপর সালমানের উদ্দেশ্য একটি বার্তা দেন তারা। যেখানে বলেন, ‘সালমান একদম ভেবো না যে দাউদ তোমাকে বাঁচাবে। এবার কেউ বাঁচাতে পারবে না তোমাকে। তুমি এখন আমাদের হাতের নাগালে। এটা কেবল ট্রেলার দেখালাম। এখনো পুরো সিনেমা দেখানো বাকি। যে দেশে যাওয়ার ইচ্ছে যাও। মৃত্যুর জন্য কোনও ভিসার প্রয়োজন হয় না। এটা অপ্রত্যাশিতভাবেই আসে।’ সম্পাদনা: তারিক আল বান্না

এসসিডি/টিএবি/এনএইচ