শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানকে নিয়ে তোলপাড় চলছে সারাদেশে। রাতারাতি ভাগ্য বদলে প্রতিষ্ঠিত এই সোনা ব্যবসায়ীকে ধরতে ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এদিকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বাস্তবের এই আরাভ চরিত্রের সঙ্গে নিজের নির্মিত ‘ফোর টুয়ান্টি; ধারাবাহিক নাটকের ‘মন্টু’ চরিত্রের মিল খুঁজে পান। নাটকটি ২০০৭-০৮ সালের দিকে নির্মাণ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ফারুকী। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের গহিন গোপন অসুখের নামই রবিউল! বায়োপসি করলে দেখা যাবে এই অসুখের তলে লুকিয়ে আছে কোন সব জীবাণু! আমি তাকে দেখি ‘ফোর টোয়েনটি’র মন্টুর ভিন্ন ভার্সন হিসেবে। বিভিন্ন লাইভে এসে যে সে তার ক্ষমতার অশ্লীল দম্ভ দেখাচ্ছিল, সেটাও হয়তো জীবাণুর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি তার ছুড়ে দেওয়া প্রশ্ন। প্রত্যেকটা রাষ্ট্র কিছু নিয়মের ভেতর দিয়ে পরিচালিত হয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যখনই সেখানে কোনো অনিয়ম হয়, তখনই সেটা রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দুর্নীতি হলে, টাকা লুটপাট হলে, মানুষের হক কেড়ে নিলে, বিনা বিচারে মানুষ মারলে, বিচার না হলে-এ রকম অনিয়মের যত বড় তালিকা করেন, প্রত্যেকটা অনিয়মই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। রবিউলের কেসও সেরকমই কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দেখার বিষয়, রাষ্ট্র সেই প্রশ্নের কী উত্তর দেয় এবং বায়োপসিতে কে বা কারা বের হয়ে আসে। পপকর্ণ নিয়ে আমরা গ্যালারিতে বসলাম।’
ফারুকী তার স্ট্যাটাসে একটি ফুটনোট দিয়েছেন। তিনি লেখেন, দুইটা পাঠ করার মতো জিনিস: ১. কেউ কেউ এটাকে শ্রেণি সংগ্রামের বিজয় হিসাবে দেখছেন। আবার সেই একই লোক তার কথিত গডফাদারদের লুটপাটের কড়া সমালোচক। ২. সাংবাদিকদের গালিগালাজের মাধ্যমে সে মোটামুটি জনতার নায়ক হিসাবে নিজেকে বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও কিছু সাংবাদিক দুর্দিনেও নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করতেছেন, তারপরও সমষ্টিগতভাবে সাংবাদিক সমাজের প্রতি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস একটা খেয়াল করার মতো জিনিস।
এসসিডি/একে
আপনার মতামত লিখুন :