ইমরুল শাহেদ: বিশিষ্ট সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, কলাম লেখক ও স্বাধীনতা পদক পাওয়া আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্নেহমাখা ভালোবাসা এবং গভীর সহানুভূতি নিয়ে সংকটে পড়া চিত্রনায়িকা পরীমণির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তার ক্ষুরধার লেখনী নিয়ে। সুদূর লন্ডন থেকে তিনি সারাক্ষণই পরীর পাশে ছিলেন যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে। লন্ডনের নর্থ উইক পার্ক হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তিনি ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পরীমণিকে নিয়ে ‘পরীমণি, তুমি আমার জন্য কেঁদো না’ শিরোনামের কবিতাটি লিখেছেন। এদেশের গণমাধ্যমে কবিতাটি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে।
কিন্তু আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন পরীমণি। চোখের পানিও ধরে রাখতে পারেননি। আবদুল গাফফার চৌধুরীর দেওয়া ‘আমার জন্য কেঁদো না’ উপদেশ এক্ষেত্রে পরীমণি রক্ষা করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে আপনি আমাকে খুঁজেছেন। আমার খারাপ সময়ে এমন কোনোদিন নেই ফোন করে খবর নেননি। টানা ৪ মাস আপনি প্রায় প্রতিদিন খোঁজ নিয়েছেন আমার হোয়াটস অ্যাপ-এ। আমাকে নিয়ে সুন্দর একটা লেখাও লিখেছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। আপনি আমাদের সাহস দিতেন সবসময়।’
আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর স্মৃতি বিভোর হয়ে অনেকক্ষণ নীরব ছিলেন পরীমণি। তার চোখে ভেসে উঠেছে নানা কথা, অজ¯্র টেক্সটের কথা। পরীমণি স্মৃতিচারণ করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কথা ছিল, আপনি আসবেন, দেখা হবে। অসুস্থতার ভেতরেও কল করেছিলেন আপনি। আহা! কোনোদিন আপনাকে ভুলবো না।’ পরীমণির এ কথার মধ্য দিয়ে যেন প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠলো আবদুল গাফফার চৌধুরীর অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ......’।
আপনার মতামত লিখুন :