ইমরুল শাহেদ: একটা সময় ছিল যখন ঢাকার চলচ্চিত্র পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল মুম্বাই ছবির উপর। সেখান থেকে নির্মিত ব্যবসা সফল ছবিগুলোকে নকল করাই ছিল ঢাকার নির্মাতাদের লক্ষ্য। এভাবে নির্মিত হয়েছে অনেক ছবি। সেগুলো কখনো কখনো সেন্সর নীতিমালার পরিপন্থী হওয়ায় নিষিদ্ধও হয়েছে। সেন্সর নীতিমালায় এ ধরনের কার্যক্রম ‘নকল’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময়টাতেই পরিচালক সাঈদুর রহমান সাঈদ নির্মাণ করেছিলেন ‘আদালত’ নামে একটি ছবি। এটি ছিল তার প্রথম ছবিও। গানের জন্য জনপ্রিয়তা পাওয়া মুম্বাইয়ের ‘শোর’ ছবিটি নকল করে তিনি ‘আদালত’ ছবিটি নির্মাণ করেন। সেই সময়ে ছবিটি নকল বলে অভিযুক্ত হয়নি। সেন্সর সনদপত্র পেয়েছে এবং ভালো ব্যবসাও করেছে।
সম্প্রতি এই নিয়ে কথা বলেছেন সাইদুর রহমান সাঈদ। সেদিন এই নকল ছবিটি নির্মাণ নিয়ে তার অনুশোচনার অন্ত নেই। তিনি বলেন, ‘এই ছবিটি নির্মাণ করা আমার জন্য ভুল ছিল। ধীর গতির ‘শোর’ ছবিটি আমার প্রিয় একটি ছবি। ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায় ...’ গানটিও আমিই অনুবাদ করেছি। তারা গানটি সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে চিত্রায়িত করেছে। আমি চিত্রায়িত করেছি সাভার লোকেশনে।’ অনুশোচনার কারণে পরে লোকগাথা নির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন বেশ কয়েকটি। মাঝে আধুনিক ধারার ‘ডার্লিং’ ছাড়াও আরো কয়েকটি ছবি নির্মাণ করেন। তার নির্মিত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলোমতি প্রেমকুমার, মধুমালা মদনকুমার, বেদকন্যা, পংখীরানী’ ‘মোনাফেক,’ ‘নেশা,’ ‘হাসনাহেনা’, ‘এরই নাম দোস্তী’।
ছাত্র জীবনে রাজনীতি করা সাঈদুর রহমান সাঈদ এখন নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে একটি ছবি। গল্পের উপাদানও ছাত্র রাজনীতি। এসএম শফি ও কাজী জহিরের অনুপ্রেরণায় চিত্রনাট্য লেখার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করা সাঈদুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয়ে আমার ছাত্র রাজনীতির চড়াই উৎরাই নিয়ে তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামানকে দিয়ে ‘মধুর ক্যান্টিন’ ছবির মহরত করেছিলাম। কিন্তু ছবিটির কাজ এগিয়ে নিতে পারছি না।’
আপনার মতামত লিখুন :