ইমরুল শাহেদ: শাকিব-বুবলীকে সরগরম থাকা চলচ্চিত্রেশিল্পের আরেক আলোচনা আসে বুবলীর শুটিং নিয়ে। জানা গেছে, যেদিন বুবলীর বিয়ে এবং সন্তানের ছবি প্রকাশ পায় সেদিন তিনি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশের একটি হাসপাতালে শুটিং করছিলেন। সেখানে ছুটে যান কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী। কিন্তু তাদের সঙ্গে তিনি যথাযথ আচরণ করেননি। পরদিন তিনি চাদর ছবির শুটিংয়ে যাননি। এক বা দুইদিন গ্যাপ দিয়ে শাকিব খান এবং তিনি কাজ করেন ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির।
চাদর ছবির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু আফসোস করে ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, ‘ঝড় আমার উপর দিয়েই গেল।’ অনলাইন বা প্রিন্ট ভার্সানের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা না বললেও তিনি সাক্ষাৎকার দেন একটি টিভি চ্যানেলকে। সেখানেও তিনি অবশ্য বিয়ে, স্বামী ও সন্তান নিয়ে কোনো কথা বলেননি। বুবলী বা শাকিব খান এখন দু’একজন পছন্দের গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে কথা বললেও তাদের সংবাদের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন নিজেদের ফেসবুক আইডিকে। সেখানে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে না। নিজেরা যা ভালো মনে তা লিখে দেন। এইতো মাত্র একদিন আগে বুবলী নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে নিজেদের তিনটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিগুলোর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জীবনের স্মরণীয় দুটো তারিখ ২০.০৭.২০১৮ এবং ২১.০৩.২০২০। প্রথমটি আমাদের বিয়ের তারিখ আর দ্বিতীয়টি আমাদের সন্তান জন্মের তারিখ।’ এরপর শেয়ার করা তিনটি ছবির লোকেশন জানিয়ে তিনি সবার কাছে তাদের জন্য দোয়া চান।
শাকিব খানের প্রথম পক্ষের সন্তান আব্রাম খান জয়ের জন্মদিনে হঠাৎ করেই নিজের বেবি বাম্পের ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন বুবলী। এর পর জলঘোলা হতে থাকে এবং তিন দিন আগে সন্তানের ছবিসহ মিডিয়ার সামনে আসেন তিনি। তার সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের পর শাকিব খানও তাদের সন্তান শেহজাদ খান বীর এর ছবিসহ স্বীকারোক্তিমূলক পোস্ট দেন। তবে ‘কবে বিয়ে করেছেন'’ এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই বিয়ের তারিখ ও ছবিসহ আরকটি পোস্ট দিয়েছেন বুবলী। বিয়েটা কোথায় হয়েছে, কারা তার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ইত্যাদি বিষয়ে কিছু জানান দেননি।
আপনার মতামত লিখুন :