ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের জুটি তাদের ভক্তদের খুব পছন্দ ছিল। যখন তাদের ব্রেকআপের খবর এলো, তখন অনেকের মন ভেঙে গিয়েছিল। সেই সময় সালমান, ঐশ্বরিয়ার ব্রেকআপ এবং বিবেক, ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেমের কাহিনি ছিল একেবারে মুচমুচে খবর!
ভারতীয় সাংবাদিক হানিফ জাভেরির দাবি, ঐশ্বরিয়া ও সালমান সত্যিই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। আর বিবেক ওবেরয় ও ঐশ্বরিয়ার প্রেমের খবরটা মিথ্যা ছিল।
হানিফ জাভেরি 'মেরি সহেলি'র সঙ্গে পডকাস্টে বলেন, যেখানে ঐশ্বরিয়া রাই বা সালমান খানের কথা আসে, তারা দুজনেই প্রেমে সিরিয়াস ছিলেন এবং চেয়েছিলেন বিয়ে করতে। কিন্তু সালমান খানের সঙ্গে অন্য হিরোইনদের সম্পর্ক ছিল। সোমি আলি, সঙ্গীতা বিজলানি ছিল তার গার্লফ্রেন্ড হিসেবে। এই দেখে ঐশ্বরিয়ার মা-বাবা সালমান খানের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক নিয়ে এতটা খুশি ছিলেন না।
হানিফ আরও বলেন, আর দ্বিতীয় কারণটি হলো যে সালমান খান চেয়েছিলেন যে তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাক এবং ঐশ্বরিয়া সেই সময় এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করে সেটেল হতে চাননি। তারপর সেই সময় দু’জনের মধ্যে একটু মন কষাকষি হয়।
তারপর একদিন সালমান খান তার বিল্ডিংয়ে গিয়ে তার দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দেন, অনেক নাটক করেন, যার ফলে তার প্রতিবেশীরা তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এই বিষয়টি ঐশ্বরিয়াকে খুব কষ্ট দেয় এবং তিনি মনে করলেন যে এই সম্পর্ক তার জন্য ঠিক হবে না। পরে তিনি নিজেই পিছিয়ে যান।
বিবেক ও ঐশ্বরিয়ার লিঙ্কআপ নিয়েও বলেন হানিফ। তিনি বলেন, এরপর ঐশ্বরিয়ার জীবনে বিবেক ওবেরয় এলেন, এটা পুরোপুরি মিথ্যে। ঐশ্বরিয়ার ফ্র্যাকচার হয়েছিল। তাই বিবেক ওবেরয় তাকে সাহায্য করছিলেন, হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন, হুইল চেয়ারে টানছিলেন।
ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের জুটি তাদের ফ্যানদের খুব পছন্দ ছিল। যখন তাদের ব্রেকআপের খবর এল, তখন অনেকের মন ভেঙে গিয়েছিল। আসলে তখন বিবেক গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়াকে সাহায্য করতে। কিন্তু তিনি এভাবে নিজের বিপদ ডেকে আনেন।