জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জনপ্রিয় অভিনেতা বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। তবে ধর্ম ও রাজনৈতিক বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবেই তাঁকে অবস্থান পরিষ্কার স্পষ্ট করতে হয়। এমনই এক পরিস্থিতিতে সালমান দাবি করেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলেও গরুর মাংস ছুঁয়েও দেখেন না তিনি। নিজেকে ‘সর্বধর্ম সমন্বয়ে’ বিশ্বাসী বলে দাবি করেন সালমান।
এক সাক্ষাৎকারে সালমান খান জানিয়েছেন, কেন তিনি গরুর গোশত খান না। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মে যেমন গরুকে মা হিসেবে পূজা করা হয়, তেমনই তাঁর কাছেও মায়ের মতোই।
তাঁকে ওই সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়েছিল সালমান খান কী খেতে পছন্দ করেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বিফ (গরুর মাংস) এবং পর্ক (শুয়োরের মাংস) ছাড়া সবকিছু খাই। গোমাতা তো আমাদের মা। আমি বিশ্বাস করি, সেই অর্থে আমারও মা। আসলে আমার নিজের মা হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আর বাবা মুসলিম। এ দিকে আমার আরেক মা হলেন খ্রিষ্টান। আমার মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকি আমি। আমার কাছে সব ধর্মই সমান। প্রত্যেকেরই উচিত সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করা।’
এরপরই সালমান খান বলেন, ‘আমাকে সব ধর্মের মানুষই বলতে পারেন। আমার বাড়িটাই এক টুকরো হিন্দুস্তান।’
একাধিকবার নিজের পদবির জেরে ‘দেশদ্রোহী’ খোঁটা খেতে হয়েছে সালমান খানকে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান ভুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পর্যন্ত তাকে উল্লেখ করে বলা হয়েছে—‘পাকিস্তানে চলে যান।’ এরপরও বারবার আন্তর্জাতিকভাবে গর্বের সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন সালমান। কখনো সিনেমার মাধ্যমে সকল ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন, আবার কখনো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খুলে দুস্থদের সাহায্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আদতে মানবতার ধর্মে বিশ্বাসী। তাঁর বাড়িতে যেমন ঘটা করে গণেশ চতুর্থী, দিওয়ালি পালন হয়, তেমনই ঈদ উদ্যাপন হয়।
গত বছরের পুরোটা জুড়েই সালমান পরিবারের বেশ আতঙ্কে কেটেছে। প্রথম দিকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হামলা। এরপর মাসখানেক ধরে খুনের হুমকি। তবে এর মধ্যেই কড়া নিরাপত্তায় চালিয়ে যাচ্ছেন শুটিং। সর্বশেষ ‘সিকান্দার’ এর পর মেগা বাজেটের দক্ষিণী সিনেমার অভিনয় করবেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :