নিজের ফ্ল্যাটে পড়েছিল কোরিয়ান মডেল ও অভিনেতা সং জে রিমের মরদেহ। মাত্র ৩৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর মরদেহ উদ্ধার হয়। এটি আত্মহত্যা না খুন এ বিষয়ে এখনো পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি।
তবে, সং জে রিমের মৃতদেহের পাশে দুই পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু যেই অভিনেতা পুরোদমে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছিলেন, তিনি কেন আচমকা আত্মহত্যা করবেন! এই প্রশ্নের উত্তরে তদন্ত করছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।
কোরিয়ান হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সং জে রিমের দেহ কে প্রথম দেখতে পান, সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যুর খবর পায় পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের ভেতরে ওই তারকার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথমেই জায়গাটি সিল করে দেওয়া হয়। তারপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
অল্প বয়সেই মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন সং জে রিম। তাঁর অভিনয় সফর শুরু হয় ২০০৯ সালে ‘অ্যাকট্রেসেস’ সিনেমার মাধ্যমে। অল্প সময়ের মধ্যেই খ্যাতি পান সং জে রিম। ‘দ্য সাসপেক্ট’, ‘অন ইওর ওয়েডিং ডে’, ‘গুড মর্নিং’-এর মতো একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কোরিয়ান ড্রামাতেও বেশ জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
২০১২ সালে মুক্তি পায় দক্ষিণ কোরিয়ার টেলিভিশন ড্রামা ‘মুন এমব্রেসিং দ্য সান’। এই ধারাবাহিকে রাজার নিরাপত্তারক্ষীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন সং জে রিম। ‘টু উইকস’ টেলি সিরিজে তাঁকে দেখা যায় খুনির ভূমিকায়।
২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কুইন উ’ সিরিজে নজর কাড়েন জে রিম। এখনো তাঁর দুটি নতুন সিনেমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আচমকা এভাবে তারকার চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না অনুরাগীরা।
আপনার মতামত লিখুন :