শিরোনাম
◈ উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা করার দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের ◈ দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই যা করবেন ট্রাম্প  ◈ প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টা ◈ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নাকি অন্যকিছু ? ◈ ভাইরাল সুপারিশপত্রের বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ রাজবাড়ীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ ‘অহরহ কল আসছে, আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চায়’ (ভিডিও) ◈ আগামী ২৪ ঘণ্টায় যেসব বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে ◈ ‘আ. লীগ-বিএনপির কোনো পার্থক্য নেই, ওরা ক্ষমতার পাগল : ফয়জুল করীম (ভিডিও) ◈ বিশ্বে মশার কামড়ে ঘায়েল ৪ বিলিয়ন মানুষ

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনারা খুনির ফোনালাপ শোনেন, সে অনুতপ্ত নাকি আরও খুন করার উসকানি দিচ্ছে: ফারুকী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনে বিনোদন জগতের তারকারা ছিলেন বিভক্তিতে। এক দল শিল্পী ছিল আওয়ামী সরকারের দালালিতে, অন্যদিকে আরেক দল ছিল একদফা দাবিতে সরকার পতনের আন্দোলনে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ উইনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু এরপরও থেমে নেই একশ্রেণির শিল্পীদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সেই ষড়যন্ত্র। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে ঢালিউড নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও একজন শিল্পী রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, গুমের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। 

তিনি বলেন, আপনি আওয়ামী লীগ সমর্থক হতে পারেন, বিএনপি সমর্থক হতে পারেন; কিন্তু শিল্পী হলে কোনো অবস্থাতেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গণহত্যা, গুমের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। ফ্যাসিজমের পক্ষে সম্মতি উৎপাদন করতে পারেন না। এবার আপনারা গত ১৬ বছর এই তিনটি সংগঠনের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ভূমিকা কি ছিল, সেটা ভেবে দেখুন। তার মানে কি— এসব ফুট সোলজারদের আঘাত করতে হবে? বিপ্লবের পক্ষের ভাইবোনদের অসন্তুষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়েও বলব— আমি ব্যক্তিগতভাবে এর বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে এ নির্মাতা আরও লিখেছেন— আমি এর আগেও অনেকবার লিখেছিলাম যে, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলন 'সময়' থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে খেলতে খেলতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন এবং শর্ট ফিল্ম ফোরাম নতুন প্রজন্মের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে।

হিটলারের সময় উল্লেখ করে ফারুকী লিখেছেন— একবার ভাবুন, হিটলারের আমলে কোনো শিল্পী হিটলারের মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদ তো দূরের কথা, তার গাছের গোড়ায় পানি ঢাললে তাকে ইতিহাস কি হিসেবে বিচার করত।

ফারুকী বলেন, পাশাপাশি এটিও মাথায় রাখতে হবে— রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। খুনি-লুটপাটকারীর বিচার শুরু হয়নি। কিন্তু নানা জায়গায় উসকানি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ডি-স্ট্যাবিলাইজ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আপনারা খুনির ফোনালাপ শোনেন। দেখেন সে অনুতপ্ত নাকি আরও খুন করার উসকানি দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিপ্লবের পর কুলিং পিরিয়ডটা পার হতে দিতে হয়। না হলে এ অবস্থায় আমি লিবারেল ক্রিটিকের স্পেস কীভাবে আশা করব? এর উত্তর আমি জানি না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়