হলিউড-বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফিটনেস সব সময় থাকে আলোচনায়। এ বিষয়ে রয়েছে তাঁর পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার হলিউডে অভিষেক হয়েছে আগেই। এরপর গায়ক নিক জোনাসকে বিয়ে করে মার্কিন মুলুকে থিতু হওয়া আর কন্যা মালতির জন্ম। তবে সবকিছুর মধ্যেই প্রিয়াঙ্কা ফিটনেসের ব্যাপারে একেবারেই আপসহীন। মজার কথা হচ্ছে, তিনি অবশ্য সেভাবে জিমে গিয়ে ওয়ার্কআউট করেন না। বরং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর ও সচল জীবনযাপনে বিশ্বাস করেন। সাঁতার ও স্কিপিং তাঁর পছন্দের ব্যায়াম। প্রিয়াঙ্কার ফিটনেস রুটিনের কিছু মূলমন্ত্র রয়েছে, যা তিনি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন। এগুলো হলো—
ভ্রমণে গিয়েও ওয়ার্কআউট করা : প্রিয়াঙ্কাকে সব সময় এদেশ-ওদেশ করতে হয় কাজের প্রয়োজনে। এ রকম ব্যস্ত ভ্রমণ–শিডিউলে নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট সময়ে জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না। তাই হোটেলের ঘরেই স্কিপিং করেন তিনি।
এর মাধ্যমে কার্ডিও ব্যায়াম করা হয়ে যায় তাঁর। এটি বহন করা সোজা, ব্যাগেই নিয়ে যাওয়া যায় সব জায়গায়। আর স্কিপিং বা দড়িলাফ তো সবাই পারেন—এক ভিডিও ইন্টারভিউয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, সাঁতারে স্ট্যামিনা বাড়ে, পেশি শক্তিশালী হয় আর হৃদযন্ত্রও ভালো থাকে।
নিজের শরীরকে জানা আর সে অনুযায়ী ব্যায়াম করা: প্রিয়াঙ্কা আসলে ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউটকেই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বানিয়ে ফেলার পক্ষপাতী নন। প্রয়োজন অনুযায়ী যতটুকু করতে হবে, সেটুকুই করার পক্ষপাতী তিনি। কর্মক্লান্ত শরীরকে কষ্ট দেওয়ার মতো ভারী ব্যায়াম না করে নিয়মিত সময় করে দ্রুত হাঁটা ভালো। প্রিয়াঙ্কা নিজের সব স্টান্ট নিজেই করেন আর মারামারির দৃশ্যগুলোও। তাই তাঁকে শরীরে গতি ও জড়তাহীন স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে হয়। এ জন্য অতিরিক্ত ওয়ার্কআউট না করে শরীরের সব অঙ্গ সচল রাখা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
সারা দিনের কাজকর্মে সচল থাকা : দিনের প্রাত্যহিক রুটিনে চলাফেরা বা শারীরিক পরিশ্রম হয়, এমন কাজ রাখতে হবে সচেতনভাবে। আর এ বিষয়টি প্রিয়াঙ্কা অনেক সময়ই গুরুত্ব সহকারে বলেন বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে। সেভাবে ব্যায়ামের জন্য সময় বের করতে না পারলেও প্রিয়াঙ্কা বিভিন্নভাবেই সচল থাকেন। লিফট না ব্যবহার করে সিঁড়িভাঙা, একটু দূরে গাড়ি পার্ক করা—এ কাজগুলোই তাঁকে ফিট রাখে।
উদ্দীপনার উৎসগুলোকে ঠিক রাখা : কেন ফিট থাকতে চান, কেনই–বা ওয়ার্কআউট আর ব্যায়াম করবেন—তা ভেবে দেখা দরকার সবার আগে। অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা এক বড় মোটিভেশন হতে পারে। আবার স্বাস্থ্যসম্মত জীবনের জন্য ব্যায়াম অত্যাবশ্যক, এই ভেবেও শুরু করা যেতে পারে। প্রিয়াঙ্কার ক্ষেত্রে এই মোটিভেশন বা উদ্দীপনাই বেশি কাজ করে বলে তিনি জানান। সে জন্য তিনি যোগ ব্যায়াম আর রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিংয়ের ওপর বেশি নির্ভর করেন।
মানসিক স্ট্রেস কমে, এমন ব্যায়াম করা : এমনিতে জিমে গেলে প্রিয়াঙ্কা কার্ডিও আর রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং বেশি করেন। স্কোয়াটও এই ফিট তারকার প্রিয় ব্যায়াম। এ ছাড়া সাঁতার কাটতেও ভালোবাসেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, এতে পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। সাধারণত ১০টি ল্যাপ পূর্ণ করেন তিনি সাঁতার কাটতে গেলে। এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা বলেন, সাঁতারে স্ট্যামিনা বাড়ে, পেশি শক্তিশালী হয় আর হৃদ্যন্ত্রও ভালো থাকে। তথ্যসূত্র: ভোগ ইন্ডিয়া ও হাল ফ্যাশন।
আপনার মতামত লিখুন :