শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকাই সিনেমায় অশ্লীল দৃশ্য দেখে নওশাবা নিজেই লজ্জিত

একটা সময় ঢাকাই সিনেমায় ছেয়ে গিয়েছিল অশ্লীলতা। ছিল কাটপিসের রমরমা ব্যবসা। সেটিকে সিনেমার অন্ধকার যুগও বলা হয়ে থাকে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মতে, ২০০০ সালের পরবর্তী সময়টা ছিল সেই ‘অন্ধকার যুগ’। তখন থেকেই দর্শকরা সিনেমা হল বিমুখ হতে শুরু করেন। সম্প্রতি ঢাকার বাইরে থেকে সেই সময়ের দুটি সিনেমা জব্দ করেছে পুলিশ। পরে সেগুলো পাঠানো হয়েছিল চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের কাছে। আর কাটপিসযুক্ত অশ্লীল সিনেমা দেখে বিব্রত সার্টিফিকেটশন বোর্ডের সদস্যরা।

জানা গেছে, গেল মঙ্গলবার সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা জব্দ করা ‘জাঁদরেল’ ও ‘শক্র ঘায়েল’ নামের সিনেমা দুটি দেখেন। পুলিশের অভিযোগ- সিনেমায় অশ্লীল কাটপিস দৃশ্য লাগিয়ে সেগুলো হলে চালানো হচ্ছিল। পরে তার সত্যতা পান বোর্ডের সদস্যরা। বাতিল হয় প্রদর্শনের অনুমতিও।

সেন্সর বোর্ডের সদস্য নির্মাতা খিজির হায়াত বলেন, ‘এত জঘন্য কাটপিস, যা কোনোভাবেই দেখার মতো নয়। এত অশ্লীলতা, নগ্নতা বাংলা সিনেমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া বাক্‌রুদ্ধ করেছে। এ ধরনের রুচিহীন কাজ যারা করেছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। আমরা সিনেমা দুটি দেখে আমাদের মতামত জানিয়েছি।

এ ধরনের সিনেমা যেন আর কোথাও কোনো সিনেমা হলে না চালানো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, এমন মতামত জানিয়েছি।’

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লিখেছেন তিনি। বলেছেন, ‘কাটপিস আমলে সেন্সর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত জব্দ হওয়া একটা সিনেমা সার্টিফিকেশন বোর্ডে আজকে দেখে লজ্জায়, ঘৃণায় বমি চলে আসছে, ছিঃ। এরাই বাংলাদেশী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার অন্যতম কারিগর। যেখানেই কাটপিস সিনেমা চলবে নিকটতম প্রশাসনকে জানানোর জোর দাবি থাকল।’

সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, ‘এই সিনেমাগুলো দেখা আমার জন্য বিব্রতকর ছিল। আমি লজ্জিত। একটি সিনেমায় অদ্ভুতভাবে আজে-বাজে দৃশ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা কোনো সভ্য দেশের দর্শকের জন্য নয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দায়িত্ব নেওয়ার পরে ইতিমধ্যে ‘নয়া মানুষ’, ‘ভয়াল’, ‘যাপিত জীবন’সহ ১০টি সিনেমা দেখেছেন চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। নতুন সিনেমা না থাকার শূন্যতায় বিভিন্ন হলে কাটপিস সিনেমা চলছে এমনটা শুনেছেন তারা। তবে যারা এমন অশ্লীল সিনেমা চালাচ্ছেন, তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে সার্টিফিকেশন বোর্ড সূত্র।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়