শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] ‘যে অন্যায়-অবিচার-নিপীড়ন করা হয়েছে বা করা হচ্ছে এখনো, যেভাবে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যেভাবে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে একটি গণতান্ত্রিক দেশে সেই দৃশ্য দেখার পর কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ যদি বাড়িতে বসে থাকতে পারে, তাহলে আমার বলার কিছু নেই। কারণ আমার একটি ১২ বছরের সন্তান আছে। আমি নিজে এ দেশের নাগরিক। আমার বিদেশি কোনো পাসপোর্ট নেই। আমি এই দেশেই থাকবো এবং এই দেশটি আমার। এই দেশটি আমরাই সংস্কার করবো।’
[৩] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে হত্যা-সহিংসতা-গণগ্রেপ্তার-হয়রানির প্রতিবাদে এবং সব হত্যার হিসাব ও বিচার করা, গুলি ও সহিংসতা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে সড়কে নামেন সংস্কৃতিকর্মীরা। সেখানে কথাগুলো বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
[৪] বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর ফার্মগেটে ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শোবিজ তারকারা। এ সময় বাঁধন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অন্যায়-অবিচার-নিপীড়ন হয়েছে। যতদিন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে আছে, আমরা ততদিন তাদের সঙ্গে থাকবো।’
[৫] তিনি আরও বলেন, ‘আমার যদি বিবেক থেকে থাকে, তাহলে এই অবস্থায় মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কোনো অবকাশ নেই। কারণ যেদিন থেকে এই ঘটনাগুলো শুরু হয়েছে, যেদিন থেকে গুলি চলেছে, সেদিন থেকে আমি দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। কারণ ওই শিশুগুলোর মধ্যে আমার সন্তান থাকতে পারতো। ওই মানুষগুলোর মধ্যে আমি, আপনি থাকতে পারতাম।’
[৬] রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এটা কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। আমি এসব অন্যায়ের সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক। এর প্রকাশ্য প্রয়োগ আমরা দেখতে চাই। যতদিন ছাত্ররা মাঠে আছে, ততদিন আমি আছি তাদের সঙ্গে।’
একে
আপনার মতামত লিখুন :