শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। গীতিকার হিসেবে ৯০ দশক থেকে বাংলাদেশে ব্যান্ড শিল্পীদের একক এবং যৌথ অ্যালবামের গান লেখা, সুর করা এবং কম্পোজিশনের কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরোক্ষভাবে তাহসানের নাম আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই সঙ্গীত পরিচালক।
[৩] প্রিন্স মাহমুদ তাহসানের নাম জড়ানো নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বিষয়টিকে একেবারেই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
[৪] প্রিন্স মাহমুদ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা, সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব খবর নজর অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই। তাহসানের বাবা মা দুইজনেই অত্যন্ত সৎ মানুষ।
ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মত বড় হয়েছে তাহসান। কোনরকম বিলাসিতা দেখিনি। যা তাহসানের অর্জন সমস্তটা গানের জন্যই।’
[৫] তিনি আরও বললেন, ‘প্রকৃত অসৎদেরকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তাহসানের আম্মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে মানে গত একযুগ বা ১২ বছর।’
[৬] প্রিন্স মাহমুদের ভাষায়, ‘তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকার সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিলো কিনা বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কিনা বা জড়িত ছিলেন কিনা সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আশা করি আমরা তাকে দোষারোপ করবো যদি তিনি অপরাধী হন বা তার কোন দায় থাকে।’
[৭] উল্লেখ্য, বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা করে। মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আবেদ আলীকে কেন্দ্র করে তাহসানকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা যা ভিত্তিহীন বলছে সংবাদ যাচাইকারি প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যান।
আপনার মতামত লিখুন :