শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] স্কুল ইউনিফর্মে দেখা গেল ঢালিউডের খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে বেঞ্চে বসেছেন তিনি। কিন্তু তাকে ছাত্র হিসেবে পছন্দ নয় শিক্ষিকার। ডিপজলকে পড়াবেন না তিনি। এদিকে ডিপজলও নাছোড়বান্দা। এই বয়সে এসে শিক্ষিত হতে তার যারপরনাই ইচ্ছা।
[৩] পড়ালেখা শিখতে যে কোনো ত্যাগ শিকার করতে রাজি তিনি। শিক্ষিকার পিছু ছাড়ছেন না। শিক্ষিকাকে মানাতে ভবনের ছাদে উঠে অনশনে বসেছেন। অবশেষে শিক্ষিকা মানলেন। তবে তিনি শর্ত জুড়ে দিলেন - তার ছাত্র হতে হলে সব খারাপ কাজ ছাড়তে হবে। মারামারি করা, মদ পান সব বন্ধ। ডিপজলও রাজি হয়ে যান, শিক্ষিত হওয়াই তার মূল লক্ষ্য।
[৪] সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে এমন সব ঘটনার দেখা মিলল। ভিডিওটির প্রথমে কিছুক্ষণ দেখার পরও বোঝা দায়- সত্যিই ডিপজল স্কুলে ভর্তি হলেন কি না।
[৫] বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে ডিপজলের ফেসবুক পেজ থেকে ওই ভিডিওটি প্রকাশ হয়। এরপরই সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এসব ভিডিওর ঘটনাটি অবশ্যই বাস্তবের নয়; রুপালি পর্দার। জানা গেছে, ‘অমানুষ হল মানুষ’ নামে ঢাকাই সিনেমার দৃশ্য এসব।
[৬] খল-অভিনেতা হিসেবে খ্যাত হলেও ডিপজলকে এখন আর খল চরিত্রে দেখা যায় না। সিনেমায় আগের মতো নিয়মিতও নন তিনি। তবে বছরে দু-একটি সিনেমা করলেও তাতে নেতিবাচক চরিত্রে পাওয়া যায় না তাকে। ইতিবাচক চরিত্রেই অভিনয় করেন তিনি। কিংবা খল থেকে নায়ক হয়ে ওঠার গল্প থাকে তার চরিত্রে। এমনই এক চরিত্রে তাকে দেখা গেছে ‘অমানুষ হল মানুষ’ সিনেমায়।
[৭] মূলত, এই সিনেমার শুরুতে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে দেখা যাবে ডিপজলকে। পরে কোনো একটি কারণে তার সুশিক্ষিত হওয়া ইচ্ছা জাগে। সেজন্য ছোটদের সঙ্গে স্কুলে ভর্তি হতে যান তিনি। প্রথমে ক্লাসে ঠাঁই মেলেনি তার। স্কুলে গুন্ডা-মাস্তানের জায়গা নয় বলে শিক্ষিকা মৌ তাকে পড়ানো নাকচ করে দেন। পরে অনেক কাকুতি-মিনতি করে মৌকে রাজি করান ডিপজল। এজন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সব খারাপ কাজ ছেড়ে দেন তিনি। এরইমধ্যে শিক্ষিকা মৌ খানের প্রেমে পড়েন ডিপজল। এরপর তার মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়।
[৮] এদিকে ডিপজলের এমন চরিত্র পছন্দ হয়েছে নেটিজেনের একাংশের। অভিনেতার পোস্ট করা ভিডিওর কমেন্ট বক্সে ইতিবাচক মন্তব্য লিখছেন তারা। অনেকে আবার ট্রলও করেছেন। ডিপজলের পুরোনো সব সিনেমার নেতিবাচক সংলাপ লিখে মজা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :