শিরোনাম
◈ কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা ◈ ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ বিরাট চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ সাজা কখনও স্থগিত হয় না: ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিলের রায়ে হাইকোর্ট  ◈ প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওবায়দুল কাদের ◈ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী দল বাংলাদেশে কাজ করছে ◈ গাজায় গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘জড়িত থাকার অকাট্য’প্রমাণ রয়েছে: সাবেক ১২ কর্মকর্তা ◈ ঘুষের মামলায় আদালতে রায় পরিবর্তনের আবেদন ট্রাম্পের ◈ টেকনাফ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক নিহত ◈ মুশতাক আহমেদকে দীর্ঘমেয়াদে রাখতে চায় বিসিবি

প্রকাশিত : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৫:০২ বিকাল
আপডেট : ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৫:০২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ববি-সাকিবের পাল্টাপাল্টি মামলা

শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] অভিনয় দিয়ে আলোচনায় না এলেও সম্প্রতি নিজের ছবির পরিচালক রাশিদ পলাশকে পিটিয়ে আলোচনায় এসেছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। যা পরিনত হয়েছে টক অব দ্য কান্ট্রিতে। সেই আলোচনা শেষ না হতেই নায়িকার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় করা একটি মামলার বিষয় সামনে উঠে এসেছে। তবে মামলাটি ২৩ জুন দুপুরে মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা নামের এক ব্যবসায়ী করেছেন। মামলা নম্বর ১৩/১৬৪।

[৩] এতে ববি হক ও তার কথিত বন্ধুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, মারধর ও চুরিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। মামলায় ববি হককে দ্বিতীয় আসামি করা হলেও প্রথম আসামি আবুল বাশার; যার পুরো নাম মির্জা আবুল বাসার।  

[৪] মামলায় বলা হয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ। এ ঘটনায় ওয়াইএন সেন্টারের ক্ষতির পরিমাণ দেড় লাখ টাকা ও চোরাই এক লাখ টাকা যা এখনো উদ্ধার হয়নি। ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৪২৭, ৫০৬ ধারায় করা মামলাটির তদন্ত করছেন গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন। এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, ববিও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

[৫] ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। ঐ রেষ্টুরেন্টটি নায়িকা তার নামে নামকরণ করেন ‘ববস্টার’। এই রেস্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল ববি ও বাশারের। প্রথমে ১৫ লাখ পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও দুটি চেকই বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে দ্বন্দ্ব বাঁধে। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।

[৬] এ বিষয়ে প্রথম মালিক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ববি আর বাশার মূলত ক্রেতা। তারা কেনার কথা বলেও টাকা পরিশোধ করেননি। পাশাপাশি জোর করে পেশী শক্তি খাটিয়ে রেস্টুরেন্টটা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। 

[৭] অন্যদিকে, মামলার বাদী মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা মূলত ভবনটির মালিক। বকেয়া ভাড়া ও অনিয়মের অভিযোগে তিনি রেস্তরাঁটি বন্ধ করার নির্দেশ দিলে মারামারির ঘটনা ঘটে।

[৮] জানা যায়, ববির বন্ধু আবুল বাসারের নামে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। আবুল বাশার বিটিএল গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির মালিক। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ববিকে নায়িকা করে ‘মাস্টার মাইন্ড’ নামে একটি সিনেমাও করার কথা ছিল তার। সেই সূত্রেই ববি ও বাশারের ঘনিষ্ঠতা।

[৯] এ ঘটনায় ববি ও বাশারও পাল্টা মামলা করেছেন। ববির পক্ষ হয়ে মো. আব্বাস মামলা করেন। ভবনের মালিক ও তার সন্তান জাওয়ান আল মামুনসহ ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।

[১০] মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘পরস্পর যোগসাজশে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। ৫৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করা হয়েছে। একটি ঘড়ি চুরি হয়েছে, যার দাম চার লাখ টাকা। এ ছাড়া নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণের চেইন ও একটি আইফোন চুরি হয়েছে। যা উদ্ধার হয় নাই।’

[১১] এ ঘটনা নিয়ে ববির অপারেশন পার্টনার (সহযোগী) আবুল বাশার বলেন, ‘রেস্তোরাঁ করার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হই। মূলত এটা ববির রেস্তোরাঁ হওয়ার কথা ছিল। আমি ছিলাম অপারেশন পার্টনার। ববির পক্ষ থেকে কাজ করতাম। মে মাসের ভাড়াও দিয়েছি। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার মতো হয়ে গেছে। এখন বিষয়টা দেখেন, যখন ববি কোনো রেস্টুরেন্ট করবে, সেটার কাগজপত্র নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকবে। সেই কারণেই আমরা মালিকপক্ষের কাছে পরে ভবনের বৈধতার কাগজ চাই। দিব দিব করে তারা ঢিলেমি করেন। এখান থেকেই ঝামেলা শুরু হয়।’

[১২] মারধরের ভিডিও রয়েছে উল্লেখ করে বাশার বলেন, ‘অনেক বলার পরও বৈধ কাগজ দেন নাই। পরে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন। তা ছাড়া ফায়ার এক্সিট নাই। একদিন গিয়ে দেখি, আমাদের জিনিসপত্র সব বাইরে ফেলে রেখেছেন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো আমাকে মেরে তারা নাটক সাজান। আমার কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। যারা আমাকে মেরেছেন, তারা সবাই ওই ভবনে থাকে। বাধ্য হয়ে মার খেয়ে চলে আসি। আমি ছিলাম একা আর তারা ছিলেন ১৫ থেকে ২০ জন।’

এসসিডি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়