এম এম লিংকন: [২] বলেছে, নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে ভোটগ্রহণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনরায় শুরু করা সম্ভব না হলে তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে অনতিবিলম্বে ভোটগ্রহণ বন্ধ করবেন।
[৩] এর পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করবেন।
[৪] আরেক পরিপত্রে ইসি জানায়, একটি বাক্স যখন ভর্তি হয়ে যাবে তখন বাক্সটি উপস্থিত সবার সামনে সিল করে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এবং ভোটকক্ষে ওই বাক্সের স্থলে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অন্য একটি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ভোটগ্রহণের জন্য রাখতে হবে।
[৫] রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
[৬] পরিপত্রে ইসি আরো উল্লেখ করে, ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত কোনো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হেফাজত থেকে বেআইনিভাবে অপসারণ করা হলে বা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ইচ্ছা করে নষ্ট করলে বা হারিয়ে গেলে বা এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকৃত হলে ওই কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা অনতিবিলম্বে ওই ঘটনা সম্পর্কে ইসির কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর ইসির অনুমোদন নিয়ে নতুনভাবে ভোটগ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন তিনি।
[৭] যে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হবে সেই কেন্দ্রের ফলাফল ছাড়া ওই নির্বাচনী এলাকার বাকি কেন্দ্রের ফলাফল দ্বারা নির্ধারিত না হয়, তা হলে নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির নির্দেশক্রমে ওই কেন্দ্রে/ কেন্দ্রগুলোর ভোটগ্রহণের জন্য একটি দিন ও সময় ধার্য করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন।
[৮] এদিকে ভোট কক্ষে ব্যালট বাক্স রাখা প্রসঙ্গে ইসি আলাদা এক পরিপত্রে বলছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সটি এমন স্থানে রাখতে হবে যা উপস্থিত প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট ও ভোটকেন্দ্রে কর্মরত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকে এবং সেখানে ভোটাররা সহজে পৌঁছাতে পারেন।
[৯] গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে কমিশন। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী
আপনার মতামত লিখুন :