এমএম লিংকন: [২] বিএনপিসহ ভোটে না আসা দলগুলোর উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করবো, সিদ্ধান্ত নেবো। উনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে অবশ্যই আমরা ওয়েলকাম করবো। কখনোই চাইবো না যে, উনারা আসতে চেয়েছেন আর আমরা ফিরিয়ে দেবো।
[৩] সোমবার (২০ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
[৪] এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও সমমনাদলগুলো সারাদেশে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে।
[৬] ভোটে ফিরতে চাইলে এ তফসিলে বিএনপির জন্য কোনো বিবেচনা থাকবে কি না -এই প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, দেখেন যদি ফিরতে চান, আমার জানা মতে পূর্বেও উনারা একটু পরেই এসেছিলেন এবং সুযোগটা পেয়েছিলেন।
[৭] বিস্তারিত এখন কিছুই বলবো না উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, উনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসবো। আইন-কানুন দেখবো। তারপর যেটা সিদ্ধান্ত হয়। অগ্রিম কিছু বলতে পারবো না। এলে তো বিবেচনা করবোই। আমরা তো চাই, সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।
[৮] ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা জানান, ওই নির্বাচনে কিন্তু উনাদের জন্য একটু স্পেস তৈরি করা হয়েছিল। যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করা হবে।
[৯] বৃহস্পতিবার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। তার তিন সপ্তাহ পর হবে ভোটগ্রহণ।
[১০] প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
[১২] রাষ্ট্রপতির কাছে জাপা তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছে এমন প্রশ্নে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, এই বিষয়টাতে আমরা কিছুই বলবো না। অগ্রীম বলার সময় এখনো আসে নাই। যখন আসবে, যেটা হবে সেটাই বলবো। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। যদি সময় বাড়ানো প্রয়োজন হয়, বাড়ানো হবে। যদি বাড়ানোর মধ্যে না হয়ে এমনিই হয়, তাহলে হবে। কোনো অসুবিধা নাই। যদি এই তফিসলের মধ্যেই আসেন, তাহলে তো তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই।
[১৩] নিশ্চয়ই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এখনো স্পেস আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাঠে রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত তা আমার বলতে হবে না। আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন। জনগণও দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু অশান্ত আছে, তাই বলে শান্ত হবে না এমন কোনো কথা না। যে কোনো মুহুর্তে শান্ত হতে পারে।
[১৪] আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন দলগুলোর প্রতি এমন আহ্বান জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আসেন, নির্বাচন করেন। নি:সন্দেহে আপনারা একটা ভালো সুষ্ঠু, সুন্দর, নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। ভোটাররা এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনয়ন করবেন। নিশ্চয় আমরা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবো। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএমএল/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :