শিরোনাম
◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ◈ দিল্লিতে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার রুপিতে ! ◈ অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার (ভিডিও) ◈ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা-সংঘর্ষ, গুলি (ভিডিও) ◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ০১:২৯ রাত
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ০১:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ

রাজধানীর ৯৪ শতাংশ কিউলেক্স, আর ৫ শতাংশ এডিস মশা

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীতে যত মশা আছে তার মধ্যে ৯৪ শতাংশের বেশি কিউলেক্স মশা। আর ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস বহনকারী এডিস প্রজাতির মশা মাত্র ৫ শতাংশ। স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ঢাকার ৯৮টি ওয়ার্ডের ১১০টি স্হানে গত ২৩ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিন ধরে প্রাক মৌসুম এ জরিপ চালানো হয়। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী। আর কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া ও ম্যালেরিয়ার মত রোগের জন্য দায়ী। 

সংবাদ সম্মেলনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, ‘২০১৯ সালে দেশে যে পরিস্হিতি তৈরি হয়েছে তা এবার হতে দেওয়া যাবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। এ জন্য মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। মশা যদি ডিম না পাড়ে তাহলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা এমনিতেই কমে আসবে। আমরা এই বিষয়ে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’

জরিপকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪০টি করে ৮০টি স্হানে পূর্ণাঙ্গ মশা ধরার ফাঁদ পাতা হয়। এ সব ফাঁদে ২ হাজার ৮১৪টি মশা ধরা পড়ে। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৭১টি কিউলেক্স ও অন্যান্য প্রজাতির মশা। এডিস মশা পাওয়া যায় ১৪৩টি। শতকরা হিসাবে ৯৪ দশমিক ৯ শতাংশ কিউলেক্স এবং বাকি ৫ দশমিক ১ শতাংশ এডিস মশা। 

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ডিএসসিসি এলাকায় ১০৬টি এবং ডিএনসিসি এলাকায় ৩৭টি এডিস মশা পাওয়া গেছে। অপরদিকে উত্তরে ১ হাজার ৫৪২টি এবং দক্ষিণে ১ হাজার ১২৯টি কিউলেক্স মশা পাওয়া গেছে।

জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএনসিসিতে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেশি। আর ডিএসসিসিতে এডিস মশার ঘনত্বের পরিমাপক ব্রুটো ইনডেক্স কিছুটা বেশি। এ করপোরেশনের ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া ৩৮ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে এইডিস মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশ।

সাধারণত মশার ঘনত্ব ২০ শতাংশের বেশি হলে তা ঝুঁকিপূর্ণ উপস্হিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে জরিপের তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ডিএসসিসির ২১, ১৫, ২৩ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্র‚টো ইনডেক্স ১০ শতাংশের বেশি এবং ৮, ১৪, ২০, ৩৫, ৪৬ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে তা পাওয়া গেছে ১০ শতাংশ। অপরদিকে ডিএনসিসির ২০, ৩২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ সূচক পাওয়া গেছে ১০ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যে।

এ ছাড়া ১০, ১৩, ১৬, ২৭, ৩০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে যা ১০ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্হ্য অধিদপ্তর। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, স্বাস্হ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ডা. বেনজীর আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়