এম এম লিংকন, হাসিব খান, এ এইচ সবুজ: সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা টেবিল ঘড়ি মার্কায় নির্বাচন করে জয়ী হলেন। পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ছিলো ৪৫০টি। কোথাও ভোট স্থগিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটে গাজীপুর জেলা পরিষদের ভবনের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে স্থাপিত নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর আগে শান্তিপূর্ণভাবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ধীরগতি ও জটিলতা ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সকালের দিকে শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও দুপুরের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের থেকে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন ও কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচনে অন্যান্য মেয়র প্রার্থী ছিলেন লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান, সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :