রিয়াদ হাসান: পিটার হাসের গুলশানস্থ বাসভবনে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশের নির্বাচন এবং সদ্য ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে প্রায় দুঘণ্টার বৈঠক শেষে তিন পক্ষই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে যোগ দেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মো. এ আরাফাত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল। বাংলা ট্রিবিউন
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে উদ্বিগ্ন তারই প্রতিফলন এই মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। যারা ভোট চুরির সঙ্গে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের সরার জন্যই এটা প্রযোজ্য। ডিবিসি টিভি
জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে মার্কিন সরকারের ঘোষণা করা ভিসানীতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। তিন দলের পক্ষ থেকে মতামত দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েও আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতারা কথা বলেছেন। নির্বাচন যেন ফেয়ার হয় সে কারণেই তারা ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, এটা বোঝা গেছে। এ ব্যাপারে আমাদের দলও একমত। আমরা বলেছি, মার্কিন সরকার যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বাংলানিউজ২৪.কম
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা কথা বললেও তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেননি আওয়ামী লীগের কেউ। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। বাংলা নিউজ ২৪
ড. সেলিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত একক কোনো দলের জন্য প্রযোজ্য নয়। এটি সরকারি দল ও বিরোধী দলসহ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের জন্যই প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসলে জিনিসটা কী, পদ্ধতিটা কী হবে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের একটা ব্রিফ করা হয়েছে। কাউকে টার্গেট নিয়ে এটি করা হয়নি। যারা সহিংসতা করবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করবে তাদের জন্যই এটি প্রযোজ্য হবে।
আওয়ামী লীগের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সেলিম মাহমুদ বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে বিশেষ অবদান রয়েছে এই বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমা হামলা চালানো হয়েছিল, মানুষ হত্যা করা হয়েছিল এসব কথাও আমরা বলেছি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :