হ্যাপী আক্তার, এ এইচ সবুজ: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫মে) সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এ ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত যা বিরতিহীনভাবে চলবে। ডিবিসি নিউজ
এ নির্বাচন ঘিরে উৎসবের আমেজ নগরজুড়েই। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮জন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নৌকা প্রতিকের আজমত উল্লা এবং সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এর মা স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতিকের জায়েদা খাতুন।
এছাড়াও আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাতি মার্কায় বিএনপি ঘরনার রনি সরকার, লাঙ্গল মার্কায় নিয়ে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজউদ্দিন, হাত পাখা মার্কায় ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল মার্কায় রাজু আহমেদ, ঘোড়া প্রতীক হারুন অর রশিদ এবং মাছ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আতিকুল ইসলাম। ৫৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১৯টি পদে লড়ছেন ৭৭ জন।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়েছিল সাবেক দুটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে। এর আয়তন ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার।
গত সিটি নির্বাচনের আগে এখানকার ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৮ হাজার ২০৪। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬। নতুন ভোটার হয়েছেন ৪১ হাজার ২৭২ জন। নির্বাচনী এলাকার ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪শ’ ৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। এর মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাকি ১২৯টিকে সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ হিসাবে ৭৩ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ’ ৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন। সময় টিভি
এদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭শ’ ৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ’ ৯৮ এবং ১৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে ১০ হাজার ৯শ’ ৭১ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী ১জন এসআই বা এএসআই ও ৩জন কনস্টেবল, ১জন অস্ত্রধারী অঙ্গীভূত আনসার পিসি, ১জন এপিসি (অস্ত্রধারী) এবং ১০ জন আনসার বা ভিডিপি সদস্যসহ মোট ১৬ জন দায়িত্ব পালন করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে এদের সঙ্গে আরও ১জন কনস্টেবলসহ মোট ১৭ জন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স সিটির প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি এবং মহানগরের ৮টি থানায় একটি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া, প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে টিমসহ র্যাবের মোট ৩০টি টিম, ৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন হিসেবে বিজিবির ২০ প্লাটুন সদস্য এবং প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ৫৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ১৯ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৭৪ জন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সিটি করপোরেশন এলাকা। এর আগে দুবার মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও আরেকবার বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
এইচএ/প্রতিনিধি/এমআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :