শিরোনাম
◈ আমার দেশ পত্রিকা কবে বাজারে আসছে, জানালেন মাহমুদুর রহমান ◈ বাংলাদেশে বর্তমানে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র: জাতিসংঘ ◈ দেশে ফিরতে সাকিব আমাকে ফোন দিয়েছিল: আসিফ নজরুল ◈ ‘মেগা বাঁধ’ ঘিরে চীন-দিল্লি উত্তেজনা ◈ রাজধানীতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সেনাবাহিনীর অভিযান (ভিডিও) ◈ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্স থেকে মাশরাফিকে বাদ দিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ আবুধাবি টি-টেন ক্রিকেটে বাংলা টাইগার্সে সাকিবের পর তাওহীদ হৃদয় সুযোগ পেলেন ◈ দুই কুশলের ব্যাটিং তা-বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো শ্রীলঙ্কা ◈ অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ◈ পাকিস্তানে ভারত খেলতে না গেলে জয় শাহকে বিকল্প খোঁজার আহ্বান ইসিবির

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:৪৮ রাত
আপডেট : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংস্কার নিয়ে সংলাপের চিন্তা: অগ্রাধিকার পাচ্ছে নির্বাচনি আইন

বিডি প্রতিদিনের সংবাদ: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে অগ্রাধিকার পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন; গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও); জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি। বিশেষ করে সংসদ নির্বাচনের আইন সংস্কার অনেকটাই নির্ভর করছে সংসদ নির্বাচনের পদ্ধতি ও সংবিধান সংশোধনের ওপর। 

এক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে দুই ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এদিকে নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপের চিন্তাও করছে সংস্কার কমিশন। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অন্য সংস্কার কমিশনগুলো সংলাপের চিন্তা করছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংলাপে করবে কি না জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, এখন সব কিছুই পর্যালোচনা চলছে।

 সিদ্ধান্ত হবে শেষের দিকে। আমরাও সংলাপ করব। ইসি সংস্কার কমিশনের কাজ অনেক। কতগুলো আইন; কতগুলো বিধিবিধান সব কিছুই পর্যালোচনা করতে হবে; তারপরে সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নির্বাচনপদ্ধতি পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবর্তে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে মতামত দিচ্ছে অনেক রাজনৈতিক দল। এজন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হবে। আর এ জন্য সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি আগেরই নির্ধারণ না হলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নির্বাচনি আইনের সংস্কার করতে গিয়ে বিপাকে পড়বে। 

অন্যদিকে একাধিক দিনেও সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আসছে। সব মিলে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আগেই দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি না হলে সংস্কার কমিশনের অনেক কাজও বিফলে যেতে পারে। ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে নির্বাচনি আইনে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। এজন্য নির্বাচনকালীন সময়ে ইসিকে বেশ কিছু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। তা না হলে নির্বাচনি সময়ে ইসির পক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সম্প্রতি এক সেমিনারে এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে ভোটের সময় সরকারের ওপর কিছুটা খবরদারির এখতিয়ার দিতে হবে। এই উপদেষ্টা বলেন, ডিসিরা নির্বাচন করে এই কথা ঠিক না। আইনে ৩০০ আসনে ৩০০ রিটার্নিং অফিসার দেওয়া যাবে। আবার ডিসিদের দিতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তিনি বলেন, দলের প্রার্থী হতে হলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদে অন্তত তিন বছর থাকতে হবে। 
কোনো ব্যক্তি কোনো দলে তিন বছর না থাকলে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দেওয়া, তৃণমূলের নেতাদের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে সরাসরি ভোটে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন, নির্বাচন প্রার্থীদের ব্যয় পর্যবেক্ষণে রাখার বিধান করার প্রস্তাব দেন সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনি সংস্কারে অগ্রাধিকারের বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় আইন হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)। আরপিও আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। জাতীয় নির্বাচনের জন্য এটা মাদার অব ল। 

এরপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন আছে, ভোটার তালিকা আইন আছে, ইসি সচিবালয় আইন আছে- এরকম অনেকগুলো আইন আছে। আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন পর্যালোচনা করতে হবে। এসব আইন পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে সুপারিশ করতে হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ এমন অনেক কাজ বিস্তৃত, যেগুলো আমরা পর্যালোচনা করব। 
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, কমিশনের নিয়োগের আইন অগ্রাধিকার। এটা নিয়ে কাজ করছি। সরকার যখন চাইবে আশা করি তখনই আমরা উনাদের একটা খসড়া দিতে পারব। ইসি নিয়োগ আইনটা তো একটা বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত বিষয় নয়। এটার সঙ্গে অনেক বিষয় যুক্ত আছে। আলোচনার ভিত্তিতে হলে ভালো হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়