এম এম লিংকন: [২] এবার ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল) যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
[৩] মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে ২০২৮ সালে কেনা প্রায় দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৪০/৫০ হাজার ব্যবহারযোগ্য, ৫০ হাজারের মতো ছোটখাটো মেরামতযোগ্য এবং বাকীগুলো বাতিল হতে পারে। আমাদের নতুন সময়কে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক কর্ণেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।
[৪] পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করছে প্রায় ৩ হাজার ৮’শ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়বে। শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাওয়ার প্রহর গুনছে কমিশন।
[৫] নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আমাদের নতুন সময়কে বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে কথা হয়েছে। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।
[৬] দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন অন্তত দেড় শতাধিক আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। অকেজো মেশিন মেরামত, সংরক্ষণ প্রভৃতির জন্য সাড়ে ১২শ কোটি এবং আরো কিছু মেশিন কিনতে বড় একটা বাজেটের প্রস্তাব কমিশন দিলেও বৈশ্বিক অর্থ সংকটের কারণ দেখিয়ে সরকার সেটি নাকচ করে দেয়।
[৭] ব্যবহার উপযোগী ইভিএমের সংকট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তি এবং বেশ কিছু সমালোচনায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এই মেশিনে ভোট করার সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে আসে কমিশন।
[৮.১] ৩০ জুন ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে দেশসেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠকে বসে কমিশন।
[৮.২] এতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হায়দার আলী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম অংশ গ্রহণ করেন।
[৮.৩] ইসি সূত্রে জানা যায়, এই বৈঠকে ইভিএমের ওজন কমানো এবং কারিগরি উন্নয়ন তথা ভিভিপ্যাট যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মেশিনগুলোর ব্যয় কমিয়ে আনা যায় কিভাবে তা নিয়েও আলোচনা হয় ঐ বৈঠকে।
[৮.৪] এ প্রসঙ্গে অশোক কুমার দেবনাথ বলছেন, এক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডার বা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসতে পারে কমিশন। সবার মতামত পেলে ইভিএমের কারিগরি উন্নয়নে হাত দেবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :