অনিক কর্মকার: [২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ১১১ জন নাগরিক।
[৩] শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একতরফাভাবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় এবং ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় আইনে এই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমরা মনে করি, এদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা চাতুর্যপূর্ণ। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
[৩] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আর নাসরীন, নাট্যকার মাসুম রেজাসহ দেশের বিশিষ্ট ১১১ নাগরিক বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা নিয়মের স্পষ্ট ব্যত্যয়। অমর্ত্য রায় এবং ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে কোনো প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও ডিসিপ্লিনারি সভা আয়োজন ব্যতিরেকে বহিষ্ককারের ঘটনা চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক; যা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল ও ন্যাক্কারজনক।
[৪] এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর গ্রাফিতি মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের (অমর্ত্য রায়-ঋদ্ধ অনিন্দ্য) নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গঙ্গোপাধ্যায়কে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। সূত্র: দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড বাংলা
[৫] এ দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক তাদের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে দেশের শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা গভীর সংকটে নিপতিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাগরিকেরা।
আপনার মতামত লিখুন :