মাজহারুল মিচেল: [২] চলতি বছর ডিসেম্বর মাসের শেষেও ডেঙ্গুর প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেওয়াই এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[৩] রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মুশতাক হোসেন বলেন, এ বছর দেশে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হলেও ডেঙ্গু মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেনি।
[৪] এপিডেমিওলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইপাব) সভাপতি অধ্যাপক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো হিউম্যান রিসোর্স (জনবল)। যে হারে রোগী বেড়েছে, সেই অনুপাতে আমাদের হাসপাতালগুলোতে জনবল নেই।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার (৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৬ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৬ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৯৭০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ১০৪ জন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :