শিরোনাম
◈ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি ◈ আসছে বছর খেলাপি ঋণ ছাড়াতে পারে পাঁচ লাখ কোটি টাকা ◈ বঙ্গবাজারে অগ্নিসংযোগ, তাপসসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ◈ (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ যে দোয়া ‘জান্নাতের গুপ্তধন’ ◈ সর্বকালের সেরা ধনী ইলন মাস্ক: ফোর্বসের দাবি ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: আন্দালিভ রহমান পার্থ ◈ আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? ◈ সাংবাদিক নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০১:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৮:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইবি উপাচার্যের ‘বিতর্কিত’ অডিও প্রকাশ, থানায় জিডি

অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠের সদৃশ শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘ফারাহ জেবিন’ নামক এক ফেসবুক একাউন্ট থেকে ফোনালাপের তিনটি পর্ব পোস্ট করা হয়। এ অডিও’র ব্যাপারে উপাচার্যের অবস্থান জানানোর আহ্বান করেছে ইবি শিক্ষক সমিতি ও শাপলা ফোরাম।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুটি বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি ও শাপলা ফোরাম এ আহ্বান জানায়।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'অদ্য ১৮-০২-২০২৩ তারিখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত অডিও-তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কথোপকথন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত অডিওতে উপাচার্য মহোদয়ের মন্তব্যে শিক্ষক সমিতি হতবাক ও বিস্মিত। এধরনের মন্তব্যের মাধ্যম্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে মর্মে শিক্ষক সমিতি মনে করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে তাঁর এধরনের বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ক্ষুব্ধ ও হতাশা ব্যক্ত করছে। প্রচারিত অডিও-এর বক্তব্যের বিষয়ে অনতিবিলম্বে উপাচার্য মহোদয়ের অবস্থান জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।'


এদিকে একই ঘটনায় আরেকটি বিবৃতি দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি মিসেস সালাম নামের আইডিতে পোস্ট করা উপাচার্যের একটি অডিও শাপলা ফোরামের নজরে এসেছে। ওই অডিওতে তাঁর যে কণ্ঠ এসেছে সেখানে তিনি তাঁর সময়ের আগে ইবির সব শিক্ষক টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, এমনকি নির্মাণকাজের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারেরা পর্যন্ত টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিনরা কোনো কাজ না করে বঙ্গবন্ধুর নামে ‘জিকির’ করেন বলে ওই অডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি অডিওতে উপাচার্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের প্রশ্ন আগেই ফাঁস করেছেন বলে প্রতিয়মান হয়। প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম যখন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সর্বক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীলতার চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়োগকৃত উপাচার্য কর্তৃক এহেন মন্তব্য এবং কর্মকাণ্ড সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলে শাপলা ফোরাম মনে করে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে ঢালাওভাবে এ ধরনের মন্তব্য করা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং শাপলা ফোরাম এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ওই অডিও উপাচার্যের কি না সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদানসহ তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য শাপলা ফোরাম আহ্বান জানাচ্ছে।'


এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, হ্যা অডিও ক্লীপটা আমার কিন্তু এখানে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রশ্নফাসের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশ্ন তো আমরা করি পরীক্ষার দিন সকালে সেক্ষেত্রে এখনো পরীক্ষাই হয়নি তাই এর কোনো ভিত্তি নেই। শিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, তাদের প্রতিবাদলিপি (বিজ্ঞপ্তি) দেখিওনাই পড়িওনাই। কাউকে আবেদন করতে বললেই কি চাকরী দিয়ে দিলাম? অডিও টি কারা ভাইরাল করতে পারে সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, "আমি তো কারো পক্ষের না। সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারবোনা। কাজটা যারা করেছে আমি তাদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করি। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ অনুযোগ নেই।"


অডিও ফাঁসের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। 


ইবি থানার ওসি আননূর জায়েদ জানান, রেজিস্ট্রার থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে বলা হয়েছে একটি ফেক ফেসবুক আইডি থেকে তার কণ্ঠের ন্যায় একটি ভয়েস ইডিট করে পোস্ট করা হয়েছে। এখন আমরা আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়