বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) ২০০ নম্বর ছিল। এ নম্বর নিয়ে ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা কারসাজি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে লিখিত পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেয়েও ভাইভায় কম নম্বর পেয়ে প্রত্যাশিত ফল অর্জন করতে পারেন না। আবার অনেকে তদবিরের জোরে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েও মৌখিকে বেশি নম্বর পেয়ে ভালো ফল বাগিয়ে নেন।
বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ ও আপত্তির মুখে সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ভাইভার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করার প্রস্তাব করে। মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ফলে ৪৭তম বিসিএস থেকে ভাইভা হবে ১০০ নম্বরের ওপর।
তবে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেছেন, প্রয়োজনে ভাইভার নম্বর আরও কমিয়ে আনা হবে। সেটা কত হতে পারে, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ৪৭তম বিসিএস থেকে ভাইভায় যে ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বর করা হচ্ছে, প্রয়োজনে সেটা আরও কমিয়ে ৫০ নম্বরও করা হতে পারে। বিষয়টির পর্যালোচনা চলছে। ইতিবাচক মনে হলে পিএসসি নম্বর কমিয়ে আনবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পিএসসির সদস্য মো. সুজায়েত উল্যা বলেন, বিসিএসের যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ৪৯তম বিসিএস থেকে এ সিলেবাস কার্যকর করা হবে।
নতুন প্রণীত সিলেবাস কেমন হবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা যে সিলেবাস প্রণয়ন করছি, সেটা শুধু বিসিএসকেন্দ্রিক নয়। এ সিলেবাস অনুসরণ করলে বিশ্বের যেকোনো দেশের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সেই প্রার্থী ভালো করতে পারবেন বলে আশা করি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসের জট নিরসনে পরিকল্পনা, মৌখিক পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার পদক্ষেপ, প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গ এবং চাকরিপ্রার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবি-দাওয়া পূরণ নিয়ে পিএসসির অবস্থান তুলে ধরা হয়। এসময় পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেমসহ সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির সদস্য এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উৎস: জাগোনিউজ২৪