শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর হজে যাবেন ৮৭ হাজার জন, নেওয়া হচ্ছে যেসব ব্যবস্থা ◈ একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ দেশের ৯ অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঝোড়ো বৃষ্টি হতে পারে ◈ ঢাকা বায়ুদূষণের শীর্ষে, যেসব পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ◈ ইন্টারপোলে হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ◈ রাখাইনের গেরিলা কমান্ডার থেকে আঞ্চলিক শক্তি: তোয়ান মারত নাইংয়ের উত্থানের গল্প ◈ ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের: ‘অগ্রগতি না হলে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র’ ◈ ১৪ ঘণ্টা পর ড্রেনে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার ◈ তিন দাবিতে এনসিপির নতুন কর্মসূচি ◈ গাজায় খাদ্য সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৬৪; মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়ালো

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৮ রাত
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

বৃহস্পতিবার (১৭এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশ থেকে প্রথম মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান ফটক সংলগ্ন কুয়েট উড পাদদেশে এসে শেষ হয়। এরপর সেখান থেকে তারা মশাল মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে প্রেস ব্রিফিং করে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাজের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ জাহিদ ও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব রাহাত।

প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল ১৮ এপ্রিল ভিসি পরিষদের মিটিং আছে। আমরা সকল ইউনিভার্সিটির সম্মানিত ভিসি মহাদয়দেরকে উক্ত মিটিং বর্জন করার অনুরোধ করছি। যেই ভিসির হাতে আমাদের রক্ত লেগে আছে, যেই ভিসি আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, যেই ভিসির তত্ত্বাবধানে মামলা ও বহিষ্কার করা হয়েছে, সেই ভিসির অধীনে যেকোনো ধরনের মিটিংয়ে যাওয়া আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে যাওয়ার শামিল।  

তারা আরও বলেন, আমাদের কতিপয় শিক্ষক আমাদের বিরুদ্ধে কর্মচারী কর্মকর্তাদের সাথে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আমাদের সংগ্রাম আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়, তারা আমাদের পিতৃতুল্য। আমাদের যদি ভুল হয়ে থাকে আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমরা ব্যথিত আজ দুইমাস ধরেও আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মানববন্ধন করলেন না। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা হলো তাও আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করলেন না। আর এখন আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে কিভাবে গেলেন? যেখানে সারাদেশ আমাদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে।

তারা আরো বলেন, আমরা দেখলাম আপনাদের সাথে মো: আতাউর রহমান মোড়ল নামে একজন বক্তব্য দিলেন। যিনি বিএনপির ২০২৪ সালের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আপ্যায়ন কমিটির আহবায়ক ছিলেন। আবার একই সাথে বিএনপির যোগীপোল ইউনিয়নের ৩১ সদস্য কমিটির সদস্য। যেইখানে কর্মচারী কর্মকর্তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ সেইখানে সে এখনো কিভাবে চাকরিরত? আর যেই স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা আমাদের আক্রমণ করে। কার চক্রান্তে আমাদের শিক্ষকদের তাদের সাথে দাঁড়া করানো হয়েছে। আমরা তার জবাব চাই?

আন্দোলনকারীরা তাদের প্রতি সমর্থন করা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আমাদের জন্য বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, ডি ইউ, সি ইউ, ব্র্যাক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমাদের সংগ্রাম স্বৈরাচারিতার বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্বাস পুরো দেশ জুলাই আগস্টের পর আর কোনো স্বৈরাচারকে ঠাই দিবে না।

তারা বলেন, কিন্তু আমরা ব্যথিত কারণ ৫৮ দিন পরেও ইন্টারিম আমাদের দিকে এখনো তাকাচ্ছে না। আমাদের ক্যাম্পাসে রামদা, চাপাতি এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে গুলি করা হলো তাও ইন্টারিম নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে। আমাদের নামে মামলা বহিষ্কারাদেশ হওয়ার পরেও তারা আমাদের দিকে তাকায়নি। যেই আসিফ মাহমুদের জন্য আমরা রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়েছি। ওই আসিফ মাহমুদ আমাদের দিকে তাকাননি। আমরা কিন্তু এখনো রাজপথ ছাড়িনি। কোথায় মাহফুজ আলম? আপনারা দেখেন না আমার ভাইরা কুকুরের সাথে শুয়ে ঘুমিয়ে কাটাচ্ছে। আমরা আপনাদেরকে হুশিয়ার করছি। আপনারা যদি এখনো আমাদের ভিসিকে অপসারণ না করেন তাহলে আমরা ধরে নিব সারা দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ইন্টারিম স্বৈরাচারকে সেইফ গার্ড দিচ্ছে। আর স্বৈরাচার দমানোর জন্য আমরা প্রয়োজনে আবার জুলাই নামাবো।

এর আগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪মে এবং আবাসিক হলগুলো ২মে খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। গত দুই দিন ধরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নিজেরাই একের পর এক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সাথে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রোববার (১৩ এপ্রিল) বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। উৎস: বাংলানিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়