শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২৫, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ০৭ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কত টাকা বেতন পাবেন এমপিওভুক্ত দেড় হাজার এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা?

এক হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যার সুফল পাবেন সাড়ে সাত হাজারের বেশি শিক্ষক।

ইতোমধ্যে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে।

বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পেলে দ্রুততম সময়ে এডুকেশনাল ইনস্টিটিউট আইডেন্টিফিকেশন নম্বরধারী (ইআইআইএন) ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

বিভাগের মাদ্রাসা অনুবিভাগের যুগ্মসচিব এস এম মাসুদুল হক বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বুধবার বিদায়ী দিনে এ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়। এখন প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের অনুমোদন পেলে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির কাজ আমরা শুরু করব।"

মাদ্রাসা অনুবিভাগের বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা দ্রুততম সময়ে মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করছি।"

মাদ্রাসাগুলোর এমপিওভুক্তিতে নতুন নীতিমালা ও জনবল কাঠামো করার পরিকল্পনা করেছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাদ্রাসাগুলোতে ছয়টি শিক্ষক পদসহ মোট সাতটি পদ থাকবে।

এবতেদায়ী প্রধান পদের বেতন নির্ধারণ করা হবে ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩২২৪০ টাকা)।

ক্বারী শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক পর্যায়ের পাঁচটি পদ থাকবে, যে পদগুলোর বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০)।

আর মাদ্রাসাগুলোর প্রতিটিতে অফিস সহায়ক বা এমএলএসএস পদ সৃষ্টি করা হবে।

এ মাদ্রাসাগুলোতে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় চালুরও পরিকল্পনা করেছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, যাকে নূরানী পর্যায় বলা হবে।

বর্তমানে এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধানরা মাসে ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও সহকারী শিক্ষকরা ৩ হাজার ৩০০ টাকা বেতন পান।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোর জনবল কাঠামো ও বেতনভাতার নীতিমালা করেছিল কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। যদিও সে নীতিমালা অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা শিক্ষকরা পাননি।

যুগ্মসচিব এস এম মাসুদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "২০১৮ সালের নীতিমালা নয়, আমরা মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তিতে নতুন নীতিমালা ও জনবল কাঠামো করার পরিকল্পনা করেছি। আর মাদ্রাসাগুলোর প্রাক-প্রাথমিক বা নূরানী পর্যায় চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।”

শিক্ষকরা চান জাতীয়করণ : শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে গত ২৮ জানুয়ারি এবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ শিক্ষকরা সাধুবাদ জানালেও তারা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন।

স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। মন্ত্রণালয়ও বলেছিল, মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।

"অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে তারা মাদ্রাসাগুলো এমপিওভুক্তির যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেজন্য সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের দাবি জাতীয়করণই থাকবে। সরকার যেন পর্যায়ক্রমে মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয় সে দাবি জানাচ্ছি।" উৎস: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়