শিরোনাম
◈ কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫শ জনের বিরুদ্ধে মামলা ◈ নিউজিল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু  ◈ আইন অনুযায়ী বিচারে ঢাকার আপত্তি নেই তবে হত্যা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়: বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে বিজিবি ◈ ইতালি এবং বাংলাদেশ খুব ঘনিষ্ঠ, আপনি সর্বদা আমাদের উপর নির্ভর করতে পারেন: মারিয়া ত্রিপোদি ◈ এডিট করা ভিডিও প্রচার করে বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ◈ এস আলমের ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন: এনবিআরের তদন্তে নতুন তথ্য ◈ গাজীপুরে পুলিশকে ১ কিমি ঝুলিয়ে নিয়ে গেলো অটোচালক (ভিডিও) ◈ আগামী অন্তত দুই দশক তরুণরা দেশের রাজনীতিকে প্রভাবিত করবে : নাহিদ ইসলাম ◈ সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আদালতে যে পরামর্শ দিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্করকে ◈ সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামানোর জোরালো দাবি বাংলাদেশের: দিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি সম্মেলন

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:৩০ দুপুর
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রদের নতুন দল

নাহিদ আহ্বায়ক, সদস্য সচিব পদ নিয়ে টানাপোড়েন

মানবজমিন’র প্রতিবেদন।। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলে শুরুতেই বিভাজিত ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। শীর্ষ পদ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্দরে চলছে অনাস্থার সুর। আহ্বায়ক পদ নিয়ে কোনো মতানৈক্য না থাকলেও সদস্য সচিব পদের দাবিদার একাধিক ব্যক্তি। যারা সবাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে হতাশ নেতাকর্মীরা। তারা মনে করছেন, শুরুতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সংগঠন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। যা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের অন্তরায় হবে। বিষয়টির সমাধানে আজ বৈঠকে বসছে নাগরিক কমিটি।

আগামাী ২৪শে ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল। শুরুতে আহ্বায়ক কমিটির গঠন করা হবে। কমিটিতে অহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক নম্বর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। যিনি বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। দলের দায়িত্ব নেয়ার আগে নাহিদ উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। নাহিদের বিষয়ে ঐকমত্য হলেও সদস্য সচিব পদ নিয়ে বিভক্ত ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একটি অংশ চাইছে নতুন দলের সদস্য সচিব হবেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

যিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান সদস্য সচিব। আরেক অংশ চাইছে আন্দোলনের অন্যতম আরেক মুখ আলী আহসান জুনায়েদকে। তিনি বর্তমানে নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও এ পদের দাবিদার রয়েছেন আরও দুজন- তারা হলেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আখতার ও জুনায়েদের মধ্য থেকে কেউ এ পদে না আসতে পারলে এদের নাম বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আবার আখতার-জুনায়েদ দুজনের কাউকে চান না এমন একটি অংশও রয়েছে নাগরিক কমিটিতে। যারা নাসীরকে এ পদে দেখতে চান। এ ছাড়াও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের অনুসারীরা চান এ পদে মাহফুজের বড় ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মাহবুব আলম মাহিরকে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবজমিনকে বলেন, শুরুতে এমন অনাস্থার সংকট তৃণমূলে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। মানুষ আস্থা হারাবে নতুন দলের প্রতি। আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। কিন্তু কেউ কেউ এ পদে একমাত্র নিজেই যোগ্য বলে ধরে নিচ্ছেন। যেটি ঠিক নয়। তিনি বলেন, ইনক্লুসিভ পলিটিক্স করতে এসে পদের জন্য গো ধরে বসে থাকা কোনো সংগঠনের জন্য সুখকর নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নেতা বলেন, একটি অংশ শীর্ষ চার পদের দুটিই চায়। কিন্তু আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না। আমরা শুরুতে সংগঠনকে বিতর্কিত করতে চাই না।

অন্যদিকে আরেক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংগঠনে আমাদের বিশাল কন্ট্রিবিউশন রয়েছে। আমাদের অনুসারী অনেকে রয়েছেন। নির্বাচন দিলে আমাদের লোকই এ পদের জন্য নির্বাচিত হবেন। কিন্তু সেখানে নির্দিষ্ট কাউকে সরাসরি মনোনীত করার বিরোধী আমরা।

এদিকে গতরাত থেকে আখতার ও জুনায়েদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। কেউ লিখছেন আখতারকেই তারা নেতা মানেন আর কাউকে নয়। কেউ লিখছেন- আখতারকে মাইনাস করতে চায় কে? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ লেখেন- আমার ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিতে আসা আখতার হোসেনের হাত ধরেই। এদেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি উনার ভালোবাসা সবসময় আমাদের মুগ্ধ করেছে। ঢাবি ক্যাম্পাসে একক নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়িয়েছেন। বারবার হামলার সম্মুখীন হয়েছেন, আহত হয়েছেন, কারারুদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু সঙ্গীদের একমুহূর্তের জন্যেও ছেড়ে যাননি। কোনো যদি-কিন্তু ছাড়া সচেতন নাগরিক হিসেবে আখতার হোসেনের পাশে আছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে সংগঠনগুলোর প্রধান পদগুলোতে কাদের দায়িত্ব দেয়া হবে তা অবশ্যই ওই সংগঠনের সকলের মতামতের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। অন্তত প্রথম দশজনের সিদ্ধান্ত মানুষের উপর ছেড়ে দিতে হবে। আগের মতোই যদি একজন দুইজনই সব সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সঙ্গে আমার যাত্রা দীর্ঘায়িত করবো না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়