গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে খুন হতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন আমরা আমাদের ভাই কাসেম হত্যার জন্য কাসেমের লাশ সামনে রেখে আমরা শপথ গ্রহণ করছি, কাসেমের এই রক্তের দায়ভার আমাদের উপর। আমরা আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করে ছাড়বো। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গাজীপুরে হামলায় নিহত মো. কাসেম খানের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও স্বৈরাচারের দোসরদের হাতে খুন হতে হয়, এটাই বর্তমান সরকারের প্রধান ব্যর্থতা। হয় আওয়ামী লীগ থাকবে, না হয় আমরা থাকব।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘সরকার না পারলে বিপ্লবকে সম্পন্ন করার দায়িত্ব নেবে ছাত্ররা।’
গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ধীরাআশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রী আ খ ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মো. কাসেম খান গুরুতর আহত হন। এর পর থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আই সি ইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার দুপুর ৩ টায় তিনি মারা যান।
কাসেমের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে ‘কফিন মিছিলের’ ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আয়নাঘর, হাসিনার হত্যা, পাল্টা বিপ্লবে আমার ভাই শহীদ কাসেমের মৃত্যু। অনেক হয়েছে। এখন আর পিছুটান নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ উৎস: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন।