শিরোনাম
◈ গোপালগঞ্জ পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত ১০ (ভিডিও) ◈ নির্বাচন ও দলগঠন ইস্যুতে ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বাড়ছে ◈ ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হাসিনাকন্যা পুতুলের (ভিডিও) ◈ লিবিয়ায় ২৩ লাশ দাফন, নিখোঁজ আরও ৩১: ফেসবুক লাইভে রাষ্ট্রদূত (ভিডিও) ◈ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে বাধা পেয়ে শাহবাগে আহতদের অবস্থান (ভিডিও) ◈ মসজিদ থেকে বেরিয়ে আটক আ.লীগ নেতা, পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিল গ্রামবাসী ◈ নিহত যুবদল নেতার পারিবারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বৈঠক ◈ অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা দরকার: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন ◈ এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০০ রাত
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা দরকার: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিৎ। এমন সুপারিশই করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ক টাস্কফোর্স।

সম্প্রতি এই টাস্কফোর্স তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ,  প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে 'অর্থনীতির পুনর্কৌশলীকরণ এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সহজলভ্য করণ' শীর্ষক প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।

প্রতিবেদনে সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য একক ভর্তি পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়েছে। এই পরীক্ষার প্রণালী তৈরি করা হবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এসএটি ও জিআরই'র ওপর ভিত্তি করে।

টাস্কফোর্স গুরুত্ব দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা অপরিহার্য। এজন্য শিক্ষা ব্যবস্থা, তার মান, অবকাঠামো ও সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সরকারি, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার।  

শিক্ষাখাতের জন্য মূল সুপারিশসমূহ

আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থায়ী ও উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে টাস্কফোর্স বেশকিছু নীতিগত সুপারিশ করেছে।  

শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানসম্মত করা:  একটি সুসংহত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং জাতীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করা। 

শিক্ষাদান এবং শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতির হালনাগাদ করা: মূল বিষয়গুলির পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা, জীবন দক্ষতা এবং পাঠক্রমবহির্ভূত ক্রিয়াকলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়ে
শিক্ষণ পদ্ধতিতে উপভোগ্য, কম চাপযুক্ত শিক্ষামূলক অনুশীলনগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য—- শিক্ষণ পদ্ধতিগুলো পুনর্বিবেচনার সম্ভাব্যতা এবং সুযোগ পর্যালোচনা করা। 

ব্যাপক চাহিদা মূল্যায়ন পরিচালনা: গ্রন্থাগার, ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ এবং স্যানিটারি টয়লেট (মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে)সহ সুযোগ-সুবিধার একটি ব্যাপক চাহিদা মূল্যায়ন পরিচালনা করা। 

তথ্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য অতিরিক্ত সম্পদ বরাদ্দ: ডিজিটাল পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ, স্মার্ট শ্রেণিকক্ষের মতো উদ্যোগ নিতে এবং ডিজিটাল শিক্ষার উপকরণ সরবরাহ করার পরামর্শ দিয়েছে টাস্কফোর্স।

আর্থ-সামাজিক সহায়তা প্রদান: শিক্ষার্থীদের আর্থিক বাধা হ্রাস এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে বৃত্তি প্রদান এবং স্কুলে খাবারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।

পাবলিক এক্সপেন্ডিচার ট্র্যাকিং (পিইটি) পরিচালনা: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয় ট্র্যাকিং পরিচালনা করে সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা এবং সমতা মূল্যায়ন করা দরকার। 

বিশ্ববিদ্যালয় একীভূতকরণ: সীমিত শিক্ষা বাজেটের সঠিক ব্যবহার, সম্পদ ভাগাভাগির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভালো অবস্থান নিশ্চিতে সরকারের উচিত কিছু পাবলিক ও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে একীভূত করার বিষয়টি বিবেচনা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্ব: দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আমেরিকান শিক্ষাক্রম গ্রহণ করতে, ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক ও শ্রেণিকক্ষে ইংরেজিতে শিক্ষা দিতে সরকারের উৎসাহিত করা উচিৎ, যাতে করে বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আকৃষ্ট হয়।  

অটো পাস এবং প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করা: পরীক্ষায় অটো পাসের বিধান বাতিল করা উচিত এবং কোনো পরিস্থিতিতে কোনও শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অটো পাসের সুবিধা দেওয়া উচিত নয়। পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন (সংশোধিত), ১৯৯২ অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের ৩ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও কর্মক্ষমতাভিত্তিক পদোন্নতি নিশ্চিত করা: সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষককে কেবল যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মক্ষমতা মূল্যায়নের জন্য একটি মানসম্মত ব্যবস্থা চালু করা উচিত, যা বিশ্বব্যাপী শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মূল্যায়ন প্রতিক্রিয়া, গবেষণার ফলাফল এবং অন্যান্য সাধারণ মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে। 

এছাড়াও আরও বেশকিছু সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।  উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়