শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:৫৩ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অবশেষে ওএসডি হলেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান রিয়াজুল

অবশেষে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত) হলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক কমিটির বির্তকিত চেয়ারম্যান ড. একেএম রিয়াজুল হাসান। তার স্থলাভিষিক্ত এখনো কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। 

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ড. একেএম রিয়াজুল হাসানকে প্রেষণ প্রত্যাহারক্রমে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ এনসিটিবিতে সদস্য (প্রাথমিক) পদে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান। ডা. দীপু মনির সময়েও তিনি সাড়ে চার বছর এ পদে চাকরি করেন। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম ও সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোয় ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে তাকে ওএসডি করা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তদবির করে তিনি নিজেকে ‘বৈষম্যের শিকার’ দাবি করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে কর্মজীবনে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের পরিচয়ে লোভনীয় ও লাভজনক পদ বাগিয়েছেন। তিনি শেরপুর সরকারি কলেজ ও ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ পদেও ছিলেন। তাছাড়া তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর আপন মামাতো ভাই।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বিশেষ সখ্যতার কারণে একাধিকবার বিদেশ সফরের সুযোগও বাগিয়ে নেন।


এছাড়া পাঠ্যবইয়ের সংশোধন ও পরিমার্জন নিয়ে নানা বির্তক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বইয়ে আদিবাসী গ্রাফিতি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া বইয়ে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ার ইচ্ছাকৃত দেরি করে নিজের মেয়াদ বৃদ্ধি করার চেষ্টাও করেছেন তিনি। এতে যথাসময়ে বই না পেয়ে পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়