কাউন্সিলরদের পরিবর্তে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে একমত নয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর সমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, কাউন্সিলরদের সরিয়ে দিলে জুলাই বিপ্লবে ভূমিকা রাখা সাধারণ জনগণের প্রতি অবিচার করা হবে। দ্রুততম সময়ে এই সমস্যা সমাধান করতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, তারা বহাল থাকুক। ফ্যাসিস্টদের যারা সহায়তা করেছিল, এমন কেউ বহাল থাকতে পারবে না। আমরা প্রশাসক দিয়ে দেশ চলতে দিতে চাই না।
আগামীতে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে যে রাজনৈতিক দল আসছে, তাকে সহযোগিতা করতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী।
উল্লেখ্য, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে– এমন বিধান রেখে গত আগস্ট ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। উৎস: যমুনা টেলিভিশন।
আপনার মতামত লিখুন :