মহসিন কবির: দেশে আগে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। করোনার কারণে কয়েক বছর লটারিতে ভর্তি করা হয়েছে। এতে স্কুলগুলো ভালো মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছেন না। ফলে স্কুলগুলোতে রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে। আর ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ইতো মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে লটারি ভর্তি পদ্ধতি বাতিল চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা রেসিডেসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বাতিল চেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্কুল ও কলেজে ভর্তি পদ্ধতি চালুর দাবি জানান।
কেউ বলেছেন লটারি পদ্ধতিতে সবার ভর্তির সুযোগ থাকে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় তা সম্ভব হয় না। তাই লটারি পদ্ধতিই ভালো। আবার একশ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বলছেন এই পদ্ধতিতে মেধাবীরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই পদ্ধতি বাতিল প্রয়োজন।
ঢাকা রেসিডেসিয়াল মডেল কলেজের এক অভিভাবক না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লটারির মাধ্যমে ভর্তিতে ভালোর সঙ্গে আমরা খারাপ শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ভালোভাবে পড়তেই পারে না। তারাও চাঞ্চ পেয়ে যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নেওয়ার সময় আমরা ভালো শিক্ষার্থী ভর্তি হতো। এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই লটারির বদলে ভর্তি পরীক্ষা চালু করলে মেধাবীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।
ঢাকা রেসিডেসিয়াল মডেল কলেজের ভর্তিচ্ছুক অভিভাবক মো. তানভীন বলেছেন, স্কুলে ভর্তিতে ভর্তি পরীক্ষার বদলে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি করা উচিৎ। ভর্তি পরীক্ষায় শিশুদের ওপর মানসিক চাপ পড়ে। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হয়। এতে উত্তীর্ণ হতে না পারলে ছোট বয়সেই তাদের মনে হেরে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়। যা শিশুদের মনে নীতিবাচন প্রভাব তৈরি করে।
মুসলেহা উদ্দিন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এবার ও মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি লটারিতে। লটারি ভর্তি নীতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ।এই নীতি বন্ধ হওয়া উচিত।
মো. রুবলে মুন্সি নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার অধিকার সকলের। এবার কোটা নাই লটারিতে কোনো ফাঁকফোকড় মানা হবে না।
মো, শাহী নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এবারো লটারি'তে স্কুলে ভর্তি,
শিশুদের মেধা নিয়ে মশকারি !
মাহবুব হাসান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, দুর্বল ছাত্র গুলো কই যাবে?
দুর্বল দের তৈরি করা শিক্ষকদের কাজ । যারা সবল তাদের যদি সরকারি তারা বাছাই করে নিয়ে যায় তাহলে কিভাবে হয়?
"...আমরা চাই এমন এক পদ্ধতি সব স্কুলে সবার জন্য দুর্বল সবল মিলে হউক শ্রেণিকক্ষ,,,বাছাই করে করে আলাদা করা বৈষম্যমূলক । সব মেধাবী শিক্ষার্থী সরকারির জন্য আর বেসরকারির জন্য দুর্বল এটা মেনে নেয়া যায় না,,,,।
শাহীন ভূইয়া নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, লটারি একটা বাজে সিদ্ধান্ত, এমন কিছু শিক্ষার্থী আছে,যাদের রোলনং ১,২ হয়। কিন্তু তারা ছাত্রও ভালোনা, আবার রেগুলার স্কুলেও আসেনা। তাতে করে স্কুলের পরিবেশও সুন্দর থাকেনা।
আপনার মতামত লিখুন :