রোববার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম পোস্টে বলেছেন, ‘শুধু একটি বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা। অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টা জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই।’
ফেসবুক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া ওই পোস্টে সার্জিস আলম আরও জানান, শেখ হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে। আর তার এই পোস্ট মুহূর্তেই নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে পোস্টে রিঅ্যাকশন পড়েছে প্রায় বিশ হাজার এবং মন্তব্য এসেছে তিন হাজারেরও বেশি।
এদিকে সার্জিস আলমের এই পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আবু বকর সিদ্দিক নামে একজন লিখেছেন, ‘আফসোস।’ আবার নাজমুল ইসলাম কাশেমি নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাই, এই বিপ্লব বেহাত হলে আপনাদেরকে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। দায়ভার নিতে হবে আপনাদের। লাউড এন্ড ক্লিয়ার।’
নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করলেও তাতে পাল্টা কোনো জবাব দিতে দেখা যায়নি সার্জিস আলমকে।
এর আগে এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে নতুন করে তিনজনকে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। এরা হলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
এদের মধ্যে নির্মাতা ফারুকীকে দেয়া হয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এবং শেখ বশিরউদ্দীনকে দেয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। তবে মাহফুজ আলমকে এখনও কোনো দপ্তর বা মন্ত্রণালয় দেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন। আর বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টা ২৪ জন।
আপনার মতামত লিখুন :